রক্তাক্ত BJP সাংসদ খগেন মুর্মু, নৃশংসভাবে হামলা নাগরাকাটায়, জেনেনিন বিস্তারিত

জলপাইগুড়ির নাগরাকাটাতে ভয়াবহ আক্রমণের শিকার হলেন মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু। উত্তরবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার সময় তাঁর উপর একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয়। এই ঘটনায় সাংসদ খগেন মুর্মু রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর সঙ্গে থাকা শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকেও মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

পরিকল্পিত হামলা ও ভাঙচুর
ঘটনার যে ভিডিও সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে একদল লোক তাড়া করছে। শঙ্কর ঘোষকে ধাক্কা দেওয়া হয়। এরপরই খগেন মুর্মুর উপর আক্রমণ চালানো হয়, যার জেরে তাঁর মুখমণ্ডল রক্তে ভেসে যায় এবং জামাকাপড় রক্তে ভিজে যায়। কোনো রকমে তাঁকে গাড়িতে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

হামলাকারীরা তাঁদের গাড়িতেও ব্যাপক ভাঙচুর চালায়, যার ফলে গাড়ির প্রতিটি কাঁচ ভেঙে যায়। এমনকি নিরাপত্তারক্ষীদেরও নিগ্রহ করার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের দাবি, তাঁরা যখন ত্রাণ বিলি করছিলেন, তখনই একদল দুষ্কৃতী এসে পরিকল্পিতভাবে হামলা চালায়।

বিজেপি এই হামলার জন্য সরাসরি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ট্যুইট করেন। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পুলিশের সামনেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালিয়েছে।

শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আক্রমণ করে বলেন, যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ বন্যায় ভাসছে, তখন মুখ্যমন্ত্রী কর্নিভালে ব্যস্ত ছিলেন। অন্যদিকে, যখন বিজেপি কর্মীরা ত্রাণ শিবিরে যাচ্ছেন, তখন তাঁদের উপর আক্রমণ করা হচ্ছে।

বিজেপির আর এক নেতা অমিত মালব্যও এই ঘটনার সমালোচনা করে লেখেন, পশ্চিমবঙ্গে ‘জঙ্গরাজ’ চলছে। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের গুন্ডারা এই হামলা চালিয়েছে এবং প্রশাসন নীরব রয়েছে। যারা জনগণকে সাহায্য করছে, তাদের উপরই আক্রমণ করা হচ্ছে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন তিনি।