ভারতীয় নৌবাহিনীর হাতে বিশাল শক্তি! সমুদ্রে নামল ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ‘এন্ড্রোথ’, যা হলো এর বিশেষত্ব

ভারতীয় নৌবাহিনীর ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী যুদ্ধজাহাজ ‘এন্ড্রোথ’ সোমবার বিশাখাপত্তনমে আনুষ্ঠানিকভাবে জলে ভাসানো হলো। এটি Anti-Submarine Warfare Shallow Water Craft (ASW-SWC) গোত্রের দ্বিতীয় সংস্করণ, যা নৌবাহিনীর শক্তিকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেল। সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই যুদ্ধজাহাজটি নির্মাণ করেছে কলকাতার গার্ডেনরিচ শিপ বিল্ডার্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স (GRSE)।

পূর্বতট নৌ কমান্ডের ফ্ল্যাগ অফিসার কমান্ডিং ইন চিফ, ভাইস অ্যাডমিরাল রাজেশ পেন্ধরকর এক সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই যুদ্ধজাহাজটিকে বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করেন।

৮০ শতাংশের বেশি দেশীয় উপাদান
‘এন্ড্রোথ’ যুদ্ধজাহাজটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো এর স্বল্প গভীরতার জলে কাজ করার বিশেষ দক্ষতা এবং আদ্যন্ত দেশীয় প্রযুক্তি নির্ভরতা। এই জাহাজটির ৮০ শতাংশের বেশি কাঁচামাল ও সামগ্রী সম্পূর্ণ দেশে তৈরি। এই উচ্চ মাত্রার দেশীয়করণ ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতার এক বড় প্রমাণ।

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যখন ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে এবং চিন-বাংলাদেশের যৌথ নজরদারি বৃদ্ধি পাচ্ছে, তখন ‘এন্ড্রোথ’-এর মতো শক্তিশালী যুদ্ধজাহাজ হাতে পাওয়া নৌবাহিনীর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

‘এন্ড্রোথ’ মানে কী? লাক্ষাদ্বীপের সঙ্গে সম্পর্ক
সাধারণত দেশের অস্ত্র ও জাহাজের নাম রামায়ণ-মহাভারতের বৈদিক অস্ত্র বা দেশের কোনও বিখ্যাত স্থান থেকে নেওয়া হয়। কিন্তু এই নতুন যুদ্ধজাহাজের ‘এন্ড্রোথ’ নামটি অনেকের মনে কৌতূহল জাগিয়েছে।

আসলে, ‘এন্ড্রোথ’ হল লাক্ষাদ্বীপের অন্তর্গত একটি বিখ্যাত দ্বীপ। লাক্ষাদ্বীপের অন্যান্য দ্বীপগুলির মধ্যে এটিই সবথেকে বড়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এই দ্বীপের গুরুত্ব অপরিসীম। গভীর নারকেল গাছের জঙ্গল, নীল নির্জন সৈকত ও সাফসুতরো বেলাভূমি এখানকার প্রধান আকর্ষণ। এই বিশেষ দ্বীপটির নামেই নতুন যুদ্ধজাহাজের নামকরণ করে ভারত তার নিজস্ব উপকূলীয় ও দ্বীপ অঞ্চলের তাৎপর্যকেও তুলে ধরল।