FASTag না থাকলেও কমবে টোলের খরচ! ১৫ নভেম্বর থেকে বড় পরিবর্তন, টাকা সাশ্রয় হবে এই উপায়ে

এবার থেকে বৈধ FASTag না থাকলেও টোল প্লাজায় আগের মতো আর দ্বিগুণ টাকা দিতে হবে না! সরকার ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করতে টোল আদায়ের নিয়মে বড় পরিবর্তন এনেছে। সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক মন্ত্রক ঘোষণা করেছে, আগামী ১৫ নভেম্বর, ২০২৫ থেকে দেশব্যাপী এই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে FASTagবিহীন গাড়িচালকদের জন্য সাশ্রয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে।
কী পরিবর্তন আসছে নতুন নিয়মে?
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যদি আপনার গাড়িতে বৈধ FASTag না থাকে, তবে টোল প্লাজায় অনলাইনে (UPI-এর মাধ্যমে) পেমেন্ট করলে টোল ফি-এর ১.২৫ গুণ টাকা দিতে হবে।
আগে FASTag না থাকলে নগদে বা অনলাইনে টোল ফি-এর দ্বিগুণ টাকা দিতে হতো। তবে এখন, শুধুমাত্র অনলাইন পেমেন্টের ক্ষেত্রেই এই ছাড় দেওয়া হয়েছে।
টাকা সাশ্রয় হবে কীভাবে?
ধরুন কোনো জাতীয় মহাসড়কে FASTag-যুক্ত গাড়ির জন্য টোল ফি ১০০ টাকা।
১. পুরোনো নিয়ম (১৫ নভেম্বরের আগে): FASTag না থাকলে টোল দিতে হতো ২০০ টাকা (দ্বিগুণ)।
২. নতুন নিয়ম (১৫ নভেম্বর থেকে): FASTag না থাকলেও অনলাইনে পেমেন্ট করলে এখন দিতে হবে ১২৫ টাকা (১০০ টাকার ১.২৫ গুণ)।
এর ফলে, ডিজিটাল পেমেন্ট করলে টোল চার্জে ৭৫ টাকা সাশ্রয় হবে।
তবে সতর্ক থাকুন: নগদে পেমেন্ট করলে নিয়মে কোনো পরিবর্তন আসেনি। সেক্ষেত্রে FASTagবিহীন গাড়িগুলিকে আগের মতোই দ্বিগুণ টাকা অর্থাৎ ২০০ টাকাই দিতে হবে।
সরকারের লক্ষ্য কী?
কেন্দ্রীয় মন্ত্রক গত ৪ অক্টোবর এই পরিবর্তনটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে ঘোষণা করেছে। এর মূল লক্ষ্য হলো নগদ লেনদেন হ্রাস করা এবং দেশজুড়ে ডিজিটাল পেমেন্টে গ্রাহকদের উৎসাহিত করা। এর ফলে টোল আদায়ে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়বে এবং টোল প্লাজায় যানজট কমাতে সাহায্য করবে বলে মনে করছে সরকার। জাতীয় মহাসড়কে নির্বিঘ্নে ও দ্রুত ভ্রমণ নিশ্চিত করাই এই সিদ্ধান্তের মূল উদ্দেশ্য।
বার্ষিক পাসও চালু করেছে সরকার
জাতীয় মহাসড়কে ভ্রমণ আরও সহজ করতে সরকার ইতিমধ্যেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে। ১৫ আগস্ট, ২০২৫ থেকে FASTag বার্ষিক পাসও চালু করা হয়েছে। এই পাসের জন্য ₹৩,০০০ টাকা দিতে হয় এবং এর মাধ্যমে এক বছরের জন্য বা ২০০টি বিনামূল্যে ভ্রমণ (যেটি আগে আসবে) উপভোগ করা যায়। এই সুবিধা বর্তমানে অ-বাণিজ্যিক গাড়ি, জিপ এবং ভ্যানগুলির জন্য নির্দিষ্ট এক্সপ্রেসওয়েতে চালু আছে।