ঢাক থামল, ফুরোলো আলোর রেশ! কলকাতার ঘাটগুলিতে এখন শুধুই বিষাদের সুর—দ্বিতীয় দিনেও নিরঞ্জন হলো কত প্রতিমা?

আলোক ঝলমলে পুজোর দিনগুলি শেষ। এখন শহরের আকাশজুড়ে কেবলই বিষাদের সুর। গতকাল দশমীর পর বিসর্জনের দ্বিতীয় দিনেও কলকাতার গঙ্গা ঘাটগুলিতে চোখে পড়ল আবেগঘন দৃশ্য। বাবুঘাটে উপস্থিত দর্শনার্থীদের চোখ থেকে ঝরে পড়ছিল জল। ঢাকের বাদ্যি থেকে ধামসা-মাদল, সিঁদুর খেলা, মিষ্টি মুখ—সব শেষে প্রতিমা জলে পড়ার পরই মন ভারাক্রান্ত সকলের।
ইটিভি ভারতের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে গঙ্গাপাড়ে উপস্থিত সেই আবেগ। এক দর্শনার্থী তাঁর ভারাক্রান্ত মন নিয়ে বলেন, “মা চলে গেলে ভালো লাগে না। কিচ্ছু ভালো লাগে না। এ দৃশ্য চোখে দেখা যায় না।” তিনি জানান, তিনি প্রতি বছরই বেলেঘাটা থেকে গঙ্গাঘাটে আসেন এবং একদৃষ্টে মায়ের বিদায় দেখেন।
দু’দিনে বিসর্জনের রেকর্ড
কলকাতা কর্পোরেশন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দশমীর দিনেই ১৮০০-এর বেশি প্রতিমা বিভিন্ন ঘাটে নিরঞ্জন হয়েছে। পাশাপাশি, দূষণ এড়াতে যে ন’টি পুকুরে বিসর্জনের বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে, সেখানেও ৩০০-র বেশি প্রতিমা নিরঞ্জন হয়েছে।
বিসর্জনের দ্বিতীয় দিনেও ঘাটগুলিতে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেও পুরসভার তথ্য অনুযায়ী, সেই সময় পর্যন্ত ৪০০-র বেশি প্রতিমার নিরঞ্জন হয়েছে। পুর আধিকারিকরা মনে করছেন, রাত পর্যন্ত এই সংখ্যা ১০০০ থেকে ১২০০-এর বেশি হতে পারে।
দশমীর পর আজ বিসর্জনের দ্বিতীয় দিনেও কলকাতার বিভিন্ন গঙ্গা ঘাটে বিষাদের সুর। দর্শনার্থীদের মুখে একই আর্তি—”আসছে বছর আবার হবে।”