ধর্মীয় পোস্ট ঘিরে উত্তপ্ত দেহরাদুন! ৫০০ জনের বিক্ষুব্ধ ভিড়, লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি সামাল দিল পুলিশ!

সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় পোস্ট ঘিরে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল দেহরাদুন। সোমবার রাতে পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর হয় যে, প্রায় ৫০০ মানুষের একটি ক্ষিপ্ত ভিড় রাস্তায় নেমে আসে। ঘটনাটি কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় এবং পুলিশকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করতে হয়।
জানা গিয়েছে, এক ছাত্রের করা আপত্তিজনক মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়া এবং হোয়াটসঅ্যাপে দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। এর ফলে ক্ষুব্ধ জনতা বাজারে চৌকির বাইরে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে শুরু করে। ভিড়ের চিৎকারে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে দেখে ঘটনাস্থলে একাধিক থানা থেকে পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ প্রথমে জনতাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, তারা পিছু হঠতে রাজি হয়নি। বাধ্য হয়ে উপদ্রবীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে।
লাঠিচার্জের ফলে এলাকায় ব্যাপক দৌড়াদৌড়ি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়, যার জেরে রাস্তায় বড় ধরনের যানজট তৈরি হয়। রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে রাস্তা কার্যত থমকে যায় এবং প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে ট্র্যাফিক বন্ধ-শুরু হতে থাকে। যানবাহনে আটকে পড়া যাত্রীরা দীর্ঘক্ষণ দুর্ভোগ পোহান।
এসএসপি অজয় সিং জানিয়েছেন, অভিযুক্ত ছাত্রকে हिरासतে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ লাঠিচার্জের পর গোটা এলাকায় চিরুনি অভিযান চালিয়ে বহু বাড়িতে সতর্কবার্তা দিয়েছে।
শান্তি বজায় রাখার আবেদন
মুসলিম সেবা সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ধর্ম এবং আস্থার প্রতি সম্মান জানানো সকলের দায়িত্ব। সংগঠন শান্তি ও ভ্রাতৃত্ব বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছে এবং বলেছে যে, আপত্তিকর মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না। একইসঙ্গে, তারা সংবিধান ও আইনের আওতায় থেকে প্রতিবাদ করার কথা জানিয়েছে এবং প্রশাসনের কাছে দোষীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।
সিও কান্দারি জানিয়েছেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য বরদাস্ত করা হবে না এবং আইন ভাঙলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।