“পোড়া বিমানঘাঁটিকে বিজয় বলছেন…”-UN-এ পাকিস্তান কে কটাক্ষ ভারতীয় কন্যার

রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ পরিষদে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ ভারতের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের অভিযোগ তুলতেই কড়া জবাব দিল ভারত। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের বক্তব্যকে ‘হাস্যকর নাটক’ আখ্যা দিয়ে ভারতীয় কূটনীতিক পেটাল গেহলট পাকিস্তানের জঙ্গি কার্যকলাপের মুখোশ উন্মোচন করে দেন। গেহলট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শেহবাজ শরিফ যদি সত্যি শান্তি চান, তবে পাকিস্তানের উচিত অবিলম্বে সকল জঙ্গি শিবির বন্ধ করে দিয়ে সমস্ত জঙ্গিকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়া।
‘সন্ত্রাসবাদকে মহিমান্বিত করেছেন শেহবাজ’
ভারতীয় কূটনীতিক পাকিস্তানকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক’ হিসেবে চিহ্নিত করে বলেন, “এই সেই পাকিস্তান, যারা গত ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভারতীয় কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে পর্যটকদের উপর নৃশংস গণহত্যার দায় থেকে জঙ্গি সংগঠন রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টকে রক্ষা করেছিল।” তিনি আরও স্মরণ করিয়ে দেন, পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশীদার হওয়ার ভান করে এক দশক ধরে ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দিয়েছিল এবং তাদের মন্ত্রিরাও স্বীকার করেছেন যে তারা বহু দশক ধরে জঙ্গি শিবির পরিচালনা করে আসছে।
ভারতীয় হামলার পর ‘যুদ্ধবিরতির’ আবেদন করেছিল পাকিস্তান সেনাবাহিনী
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতি নিয়ে ‘অদ্ভুত তথ্য’ দিয়েছেন—এই অভিযোগ তুলে পেটাল গেহলট বিস্ফোরক তথ্য ফাঁস করেন। গেহলট বলেন, “রেকর্ড স্পষ্ট। ৯ মে পর্যন্ত পাকিস্তান ভারতের উপর আরও আক্রমণের হুমকি দিচ্ছিল। কিন্তু ১০ মে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী সরাসরি আমাদের কাছে যুদ্ধ বন্ধ করার আবেদন জানায়।” তিনি যোগ করেন, এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি বিমান ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছিল, যার ছবি জনসমক্ষে রয়েছে।
গেহলট তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, “যদি ধ্বংসপ্রাপ্ত রানওয়ে এবং পুড়ে যাওয়া হ্যাঙ্গারগুলিকে (পাকিস্তানি) প্রধানমন্ত্রীর দাবি অনুসারে বিজয়ের মতো দেখায়, তাহলে পাকিস্তান তা উপভোগ করতে পারে।” তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারতে নিরীহ অসামরিক নাগরিকদের উপর জঙ্গি হামলার জন্য পাকিস্তান দায়ী এবং ভারত তার জনগণকে রক্ষা করার অধিকার প্রয়োগ করেছে।
‘সকল সমস্যা কেবল দ্বিপাক্ষিক পর্যায়েই সমাধান হবে’
পেটাল গেহলট পাকিস্তানকে কঠোর বার্তা দিয়ে বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী যদি শান্তির কথা বলেন, তবে পথ পরিষ্কার— অবিলম্বে সমস্ত জঙ্গি শিবির বন্ধ করে জঙ্গিদের ভারতের হাতে হস্তান্তর করা উচিত। তিনি আরও বলেন, ঘৃণা, গোঁড়ামি এবং অসহিষ্ণুতা অনুশীলনকারী একটি দেশের এই মঞ্চে বিশ্বাসের বিষয়ে প্রচার করা বিদ্রূপাত্মক। ভারতের পক্ষ থেকে পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে যে, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সকল সমস্যা কেবল দ্বিপাক্ষিকভাবেই সমাধান হবে এবং এতে কোনও তৃতীয় পক্ষের কোনও ভূমিকা থাকবে না।