পুজো উপলক্ষ্যে ২৫ লাখ পরিবারকে বিনামূল্যে রান্নার গ্যাস, জেনেনিন কিভাবে পাবেন?

উৎসবের মরশুমের আগেই সাধারণ মানুষের জন্য বিরাট সুখবর শোনাল ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার (PMUY) আওতায় আরও ২৫ লক্ষ পরিবারকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এলপিজি (LPG) সংযোগ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। এই সংযোগ দেওয়া হবে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে। সরকারের এই উদ্যোগ গ্রামীণ ও দরিদ্র পরিবারগুলির রান্নাঘরে আধুনিক জ্বালানির সুবিধা পৌঁছে দেবে, যা স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও পরিবেশ দূষণ কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে।

উজ্জ্বলা যোজনার সুবিধা ও লক্ষ্য

প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা ২০১৬ সালে উত্তর প্রদেশের বালিয়া থেকে শুরু হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১০ কোটিরও বেশি পরিবার এলপিজি সংযোগ পেয়েছে। নতুন ২৫ লক্ষ সংযোগ যুক্ত হওয়ায় মোট গ্রাহক সংখ্যা ১০.৫৮ কোটিতে পৌঁছাবে।

এক ঝলকে কী কী সুবিধা পাওয়া যাবে:

  • সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সংযোগ: নতুন এলপিজি সংযোগের জন্য আবেদনকারী মহিলাদের কোনো খরচ বহন করতে হবে না।
  • ফ্রি কিট: প্রথম সিলিন্ডার, চুলা (স্টোভ), প্রেসার রেগুলেটর, সেফটি হোস এবং গ্যাস কনজিউমার কার্ড বিনামূল্যে সরবরাহ করা হবে।
  • সিলিন্ডারের বিকল্প: আবেদনকারীরা পরিবারের আকার অনুযায়ী ১৪.২ কেজি বা ৫ কেজির সিঙ্গল অথবা ডাবল সিলিন্ডার বেছে নিতে পারবেন।
  • বছরে ৯টি সিলিন্ডারে ভর্তুকি: এই প্রকল্পের আওতায় বছরে সর্বোচ্চ ৯টি রান্নার গ্যাস সিলিন্ডারে ভর্তুকি পাওয়া যাবে। প্রতিটি ১৪.২ কেজি সিলিন্ডারের জন্য সরকার ₹৩০০ টাকা ভর্তুকি দেবে।

সরকারের এই ₹৬৭৬ কোটির প্রকল্পে কাঠ, কয়লা বা কেরোসিনের ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা এবং কার্বন নিঃসরণ কমানোই মূল লক্ষ্য।

 

বিনামূল্যে LPG সংযোগ পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় নথি

 

ফ্রি এলপিজি সংযোগ পেতে আবেদনকারী মহিলাদের নিম্নলিখিত নথিগুলি জমা দিতে হবে:

  1. পরিচয়পত্র: আধার কার্ড (মোবাইল নম্বর লিঙ্ক থাকা বাধ্যতামূলক), ভোটার আইডি বা প্যান কার্ড।
  2. বাসস্থান ও দারিদ্র্যের প্রমাণ: রেশন কার্ড (বিপিএল বা অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণীর প্রমাণ)।
  3. আবাসিক প্রমাণপত্র
  4. ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট: ব্যাঙ্ক পাসবুক এবং IFSC কোড সহ অ্যাকাউন্ট নম্বর (আধার লিঙ্ক বাধ্যতামূলক)।
  5. স্ব-ঘোষণাপত্র: পূর্বে কোনো এলপিজি সংযোগ না থাকার বিষয়ে একটি স্ব-ঘোষণাপত্র।
  6. অন্যান্য: সমাজকল্যাণ দপ্তরের শংসাপত্র এবং পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

এই সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে গ্রামীণ মহিলাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে, রান্নার সময় বাঁচবে এবং স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমবে।