ওষুধের উপর ১০০% ট্যারিফ ঘোষণা ট্রাম্পের, এবার বিপদে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা?

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত বাণিজ্যনীতি ফের একবার ভারতের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মুখে ভারতকে ‘বন্ধু’ বললেও, হঠাৎ করেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমদানিকৃত ওষুধের ওপর ১০০ শতাংশ ট্যারিফ চাপিয়ে দিয়েছেন তিনি। এর ফলে ভারতের ওষুধ রফতানিকারকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে শুধু ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, এর পরোক্ষ প্রভাব পড়বে ওষুধের দামের উপরও।
শুধু ওষুধ নয়, ট্রাম্পের নতুন ঘোষণায় গৃহস্থালীর নানা সামগ্রী, আসবাবপত্র এবং মালবাহী ট্রাকের ওপরও চড়া হারে শুল্ক চাপানো হয়েছে। গৃহস্থালীর পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ, আসবাবপত্রের ওপর ৩০ শতাংশ এবং মালবাহী ট্রাকের ওপর ২৫ শতাংশ ট্যারিফ আরোপ করেছেন তিনি। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যতদিন পর্যন্ত বিদেশি কোম্পানিগুলো আমেরিকায় উৎপাদন শুরু না করছে, ততদিন এই শুল্ক বহাল থাকবে। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ‘Truth’-এ তিনি আরও বলেন, “আমেরিকার মাটিতে কারখানা তৈরি করো, এটাই চুক্তি।”
ট্রাম্পের ঘোষণা অনুযায়ী, এই নতুন ট্যারিফ আগামী ১লা অক্টোবর থেকেই কার্যকর হবে। বাথরুমের আসবাবপত্র, প্রসাধনী ও অন্যান্য গৃহস্থালী সামগ্রীর উপর ৫০% এবং ভারী ট্রাক আমদানিতে ২৫% শুল্ক দিতে হবে। এর ফলে আমেরিকায় পণ্য রফতানি করা দেশগুলোর, বিশেষ করে ভারতের ব্যবসায়ীদের, বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
ট্রাম্পের এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য হলো ‘মেক ইন আমেরিকা’ নীতিকে শক্তিশালী করা। তার দাবি, বিদেশি কোম্পানিগুলো কম দামে পণ্য বিক্রি করে আমেরিকার দেশীয় শিল্পকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তিনি বলেন, ‘আমেরিকান বাজার বিদেশি ফার্নিচার, ক্যাবিনেট এবং গাড়ির যন্ত্রাংশে ভরে যাচ্ছে। আমাদের নিজেদের শিল্প এবং চাকরি বাঁচানোর জন্য এই ট্যারিফ অত্যন্ত জরুরি।’
তবে সমালোচকদের মতে, এই পদক্ষেপের ফলে আমেরিকায় মুদ্রাস্ফীতি আরও বাড়তে পারে। এটি পুরোনো ট্যারিফের ধাক্কা সামলে ওঠা ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করবে। তা সত্ত্বেও, ট্রাম্প তার সিদ্ধান্তে অটল। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা খুবই সহজ। যারা এখানে পণ্য বিক্রি করতে চায়, তাদের এখানেই উৎপাদন করতে হবে।’