চাকরি দেওয়ার নামে গৃহবধূকে ডেকে একাধিকবার ধর্ষণ ও লক্ষাধিক টাকা হাতানোর অভিযোগ! স্বরূপনগরে গ্রেফতার অভিযুক্ত

চাকরি দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে এক গৃহবধূকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুধু ধর্ষণ নয়, চাকরি করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহিলার কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকাও হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানার বাংলালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়।
নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরায় সে অপরাধের কথা স্বীকার করেছে বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের।
কী ঘটেছিল?
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সি নির্যাতিতা ওই গৃহবধূর বাড়ি বাদুড়িয়া থানা এলাকায়। সম্প্রতি বাংলালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তেতুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা অভিযুক্ত যুবকের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়। অভিযোগ, চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধাপে ধাপে ওই গৃহবধূর কাছ থেকে যুবকটি কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়।
দীর্ঘদিনেও চাকরি না হওয়ায় নিজেকে প্রতারিত মনে করেন ওই মহিলা। এরপরই তিনি যুবকের উপর টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিতে শুরু করেন। অভিযোগ, এরপরেই কয়েক দিন আগে চাকরির টাকা ফেরতের নামে যুবকটি তাঁকে স্বরূপনগরের বাড়িতে ডেকে আনে। সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ভয় দেখিয়ে নির্যাতিতাকে এরপরও কয়েকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন নির্যাতিতা।
পুলিশ সুপার কী বলছেন?
স্বরূপনগর থানায় ধর্ষণ ও প্রতারণার লিখিত অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরই গা ঢাকা দিয়েছিল অভিযুক্ত। তবে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার গভীর রাতে তেতুলিয়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকা থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে স্বরূপনগর থানার পুলিশ।
বসিরহাট জেলার পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান এই প্রসঙ্গে বলেন, “নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার নেপথ্যে চাকরি সংক্রান্ত লেনদেন নাকি অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নির্যাতিতার মেডিক্যাল টেস্টেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।”
ধৃতকে বৃহস্পতিবার বসিরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে চেয়েছেন তদন্তকারীরা। ঘটনার নেপথ্যে কোনও বৃহত্তর ষড়যন্ত্র বা অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।