পুজো উদ্বোধন মঞ্চ থেকে ফের সরব মমতা, “আমার ভাষাকে যেন অপমান না করা হয়”, নিশানা কাদের দিকে

মহালয়ার আগেই উৎসবের সূচনা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একের পর এক পুজো মণ্ডপে হাজির হচ্ছেন তিনি। বৃহস্পতিবারও কলকাতার কয়েকটি পুজোর উদ্বোধনের পাশাপাশি আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে পুলিশ কর্মীদের উদ্যোগে আয়োজিত দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেখানেই এক অভিনব মণ্ডপ দেখে আপ্লুত হলেন তিনি।

আলিপুর বডিগার্ড লাইন্স আবাসিক দুর্গাপুজোর মণ্ডপ এবার তৈরি করা হয়েছে দিঘার নতুন জগন্নাথ মন্দিরের আদলে। উদ্যোক্তাদের এই সৃজনশীল ভাবনা দেখেই উচ্ছ্বসিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজো উদ্বোধন শেষে তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, তাঁর বিচারে এই পুজোই এ বছরের ‘সেরার সেরা’।

“আপনারাই সেরার সেরা”: আবেগপ্রবণ মুখ্যমন্ত্রী
পুলিশ কর্মীদের পরিবারের কথা ভেবে দৃশ্যতই খুশি হন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের আত্মত্যাগ ও নিষ্ঠার ভূয়সী প্রশংসা করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পুলিশের কথা ভাবুন তো। পরিবারকে সময় দিতে পারেন না। আনন্দ, দুর্যোগ সবক্ষেত্রে পরিবার একাই থাকে। পুলিশ তার দায়িত্ব পালন করে চলেছে। তারা চাকরিতে যোগ দেওয়ার সময় থেকেই সমাজ, দেশ ও রাজ্যকে নিজেদের নিবেদন করেছেন।”

এরপরই পুজো মণ্ডপের ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি এ বছর অনেক পুজো দেখছি। কিন্তু আপনারা যে ভাবে পুজো করেছেন, যেভাবে জগন্নাথ মন্দির ও দিঘাকে তুলে এনেছেন, তাতে আপনারাই সেরার সেরা। এটা আমি নিজের বিবেক থেকে বলছি।”

ফের বাংলা ভাষার অপমান নিয়ে সরব মমতা
এ দিনও পুজোর উদ্বোধন মঞ্চ থেকে ফের বাংলা ভাষার অপমান নিয়ে সরব হন মুখ্যমন্ত্রী। কতিপয় মানুষের ‘কুৎসা’ ও ‘ষড়যন্ত্রে’র বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কিছু মানুষ আছে কুৎসা করেন, ষড়যন্ত্র করেন। ৫ শতাংশ লোক এগুলো করেন। আমাকেও অনেক কথা বলেন, আমাকে অপমানিত করেন।”

ভাষা ও ধর্ম প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি সব ধর্মে বিশ্বাসী। আমার ভাষাটাও ভাষা। অপমান যেন না করা হয়। আমরা অনেক ভাষাকে স্বীকৃতি দিয়েছি, এটাই আমার বাংলা। আমরা আমাদের গুরুজন, গুণীজনদের কাছে এটাই শিখেছি।”