টেটের পাশের হার এত কম কেন? কারণ জানিয়ে যা বললেন বিজেপির সুকান্ত

২০২৩ সালের প্রাথমিক টেটের ফলাফল প্রকাশিত হওয়ার পর রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র তরজা। এবার টেটের পাশের হার মাত্র ২.৪ শতাংশ, যা গতবারের তুলনায় অনেক কম। এই ফলাফল নিয়েই রাজ্য সরকারকে বিঁধেছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, “টেটে এত কম সংখ্যক পরীক্ষার্থীর পাশ করা অনেক প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। তাহলে কি আগের পরীক্ষাগুলোতে জল মেশানো হয়েছিল, নাকি এবারেরটা চেপে দেওয়া হল? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর কিন্তু বাংলার মানুষ এবং বেকার যুবকসমাজ খুঁজছে।”
সুকান্ত মজুমদারের মতে, রাজ্য সরকার আসলে বেকার যুবকদের চাকরি দিতে চাইছে না, আর সে কারণেই এমন ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের টেটে যেখানে ৫৭ হাজার পরীক্ষার্থী পাশ করেছিলেন, সেখানে ২০২৩ সালে এই সংখ্যা মাত্র ৬,৭৫৪ জন। এই বিশাল পার্থক্যের কারণে পরীক্ষার্থীদের মধ্যেও ক্ষোভ দানা বেঁধেছে।
তৃণমূলের পাল্টা জবাব
সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগের জবাবে তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার পাল্টা তোপ দেগেছেন। তিনি সুকান্তের মন্তব্যকে ‘অবান্তর’ বলে অভিহিত করেছেন। জয়প্রকাশের অভিযোগ, “সুকান্ত দীর্ঘ দিন শিক্ষকতা করেছেন, অথচ তিনি কীভাবে এমন কথা বলতে পারেন? আগের পরীক্ষায় কতজন পাশ করেছে, সেটা মাথায় রেখে কি ফল প্রকাশ করা হয়? এটি শিক্ষাব্যবস্থার যুক্তি নয়।”
দীর্ঘ অপেক্ষার পর ফল প্রকাশ
২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ এই পরীক্ষাটি নিয়েছিল। তার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ, দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর। পরীক্ষায় বসার জন্য মোট ৩,০৯,০৪৫ জন রেজিস্টার করেছিলেন, যার মধ্যে পরীক্ষা দিয়েছিলেন ২,৭৩,১৪৭ জন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাশ করেছেন মাত্র ৬,৭৫৪ জন।
এই পরীক্ষার প্রথম দশটি স্থানে মোট ৬৪ জন পরীক্ষার্থী জায়গা করে নিয়েছেন। প্রথম স্থান অধিকার করেছেন ইনা সিংহ, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন কাজল কুটি, এবং তৃতীয় স্থানে সৌমিক মন্ডল ও স্বর্ণেন্দু ভার।
ফলাফল প্রকাশের পর এখন সকলেরই অপেক্ষা কবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হবে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মহলে দাবি উঠতে শুরু করেছে।