ফিলিস্তিন ইস্যুতে মোদীকে কেন তুলোধনা করলেন সোনিয়া গান্ধী, বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী!

ফিলিস্তিন ইস্যুতে মোদীকে কেন তুলোধনা করলেন সোনিয়া গান্ধী, বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেত্রী!

কংগ্রেস সংসদীয় দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধী ফিলিস্তিন ইস্যুতে কেন্দ্রের মোদী সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি একাধিক পশ্চিমা দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় এই বিতর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। একটি ইংরেজি দৈনিকের জন্য লেখা এক নিবন্ধে সোনিয়া গান্ধী অভিযোগ করেছেন, এই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে সরকারের “গভীর নীরবতা” আসলে “মানবতা এবং নৈতিকতা দুটিরই বিসর্জন”।

সোনিয়া তার লেখায় বলেন, সরকারের এই পদক্ষেপগুলি ভারতের সাংবিধানিক মূল্যবোধ বা তার কৌশলগত স্বার্থের পরিবর্তে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর “ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব” দ্বারা প্রভাবিত বলে মনে হচ্ছে। তিনি এই ধরনের “ব্যক্তিগত কূটনীতি”কে ভারতের পররাষ্ট্র নীতির জন্য অগ্রহণযোগ্য বলে আখ্যা দেন।

সোনিয়া গান্ধী ভারতের ঐতিহাসিক ভূমিকার কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, জাতিসংঘে ১৯৩টি সদস্য দেশের মধ্যে ১৫০টিরও বেশি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। ভারত এই বিষয়ে বরাবরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে। বছরের পর বছর ফিলিস্তিন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)-কে সমর্থন করার পর, ভারত ১৯৮৮ সালের ১৮ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তিনি বলেন, ভারত স্বাধীনতার আগে থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং আলজেরিয়ার স্বাধীনতার পক্ষে দৃঢ় অবস্থান নিয়েছিল। ১৯৭১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে গণহত্যা বন্ধ করতে ভারত যেভাবে হস্তক্ষেপ করেছিল, সে প্রসঙ্গও তিনি তুলে ধরেন।

কংগ্রেস নেত্রী বলেন, দীর্ঘকাল ধরে ভারত ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়ে একটি সংবেদনশীল কিন্তু নীতিগত অবস্থান বজায় রেখেছে এবং শান্তি ও মানবাধিকারের প্রতি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ভারত এখন ফিলিস্তিনের ইস্যুতে নেতৃত্ব দিক, কারণ এটি এখন কেবল একটি সংঘাত নয়, বরং ন্যায়বিচার, পরিচয়, মর্যাদা এবং মানবাধিকারের জন্য একটি লড়াই।