কালীগঞ্জে বোমাবাজির জের, অভিযুক্তদের আত্মীয়ের ওপর হামলা, কেন উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা

৯ বছরের শিশু তামান্না খাতুন হত্যা মামলার জেরে নদিয়ার কালীগঞ্জে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্তের এক আত্মীয়কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার সকালে মোলান্দিতে এই ঘটনায় গুরুতর আহত রফিকুল শেখকে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঠিক কী ঘটেছে?

রফিকুল শেখের পরিবারের অভিযোগ, মুর্শিদাবাদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে সিপিএম কর্মী সাদ্দাম শেখ, ঈদ মহম্মদ-সহ পাঁচজন তাকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করে। হামলার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক। এই বিষয়ে মীরা ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূলের জয়ী হওয়ার পর বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া বোমার আঘাতে শিশু তামান্না খাতুন নিহত হয়। ওই ঘটনায় বামপন্থীরা তামান্নার পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়। তামান্নার পরিবার বাম-সমর্থক হওয়ায় এই ঘটনা রাজনৈতিক রূপ নেয়।

আগের হামলা এবং জামিন

তামান্না হত্যার পর ওই রাতেই মূল অভিযুক্ত আদর আলীর আত্মীয় বাদশা শেখকে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগ উঠেছিল সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধে। সেসময়ও অভিযোগের তালিকায় সাদ্দাম শেখ ও ঈদ মহম্মদের নাম ছিল। সেসময় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করলেও, সম্প্রতি তারা জামিনে মুক্তি পায়। স্থানীয়দের অভিযোগ, জামিনে মুক্তির পর তারা আবার এলাকায় সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং শনিবার আবারও হামলা চালায়।

সিপিএমের পাল্টা অভিযোগ

অন্যদিকে, এই অভিযোগের বিষয়ে স্থানীয় সিপিএম নেতৃত্ব পাল্টা দাবি করেছে যে, তাদের কর্মীদের ইচ্ছে করে ফাঁসানো হচ্ছে। সিপিএম নেতা দেবাশিস আচার্য বলেন, “তামান্না হত্যা মামলায় ১৪ জন প্রকৃত অভিযুক্তকে পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টে বাম কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দিয়ে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা চলছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে এবং অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। এই ঘটনার পর মোলান্দি এবং আশপাশের গ্রামে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।