মহালয়ার পূণ্যলগ্নে সৌভাগ্যের দরজা খুলতে মেনে চলুন এই নিয়ম, জেনেনিন কি কি ?

বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজার সূচনা হয় মহালয়ার মাধ্যমে। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে দেবীপক্ষের সূচনা হয় এই দিনে। এই বিশেষ তিথিতেই দুর্গাপূজার আগমনী সুর শোনা যায়। মহালয়া মানেই যেন উৎসবের ঢাকে কাঠি পড়ে যাওয়া, আর সেই সঙ্গে শুরু হয় বিগ বাজেটের পুজো প্যান্ডেলগুলির উদ্বোধন। মহালয়া মূলত পিতৃপুরুষদের তর্পণ করার একটি তিথি। শাস্ত্র মতে, মহালয়া কথার অর্থ ‘মহান তিথি’। যদিও এটি শুভ নাকি অশুভ তা নিয়ে নানা মতভেদ আছে, তবে বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে পূর্বপুরুষরা আশীর্বাদ করতে পৃথিবীতে নেমে আসেন।
শাস্ত্র অনুযায়ী, মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপূজার সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও এই বিশেষ দিনে প্রতিমার চোখে রং করার রীতি প্রচলিত আছে, যা ‘চক্ষুদান’ নামে পরিচিত। অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, মহালয়ার দিনে কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চললে জীবনে সুখ-সমৃদ্ধি আসে এবং ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়। এই দিনে বাড়িতে ব্রাহ্মণ বা শিশুদের নিমন্ত্রণ করে খাওয়ানো, পশুপাখিকে খাবার দেওয়া এবং অসহায় মানুষকে প্রয়োজনীয় জিনিস দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। পূর্বপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে তর্পণ করা এই দিনের একটি প্রধান রীতি। এছাড়া, এই দিনে নিরামিষ ভোজন করা উচিত।
অন্যদিকে, মহালয়ার দিনে কিছু কাজ করা থেকে বিরত থাকা উচিত। যেমন, এই দিনে চুল-দাড়ি, নখ কাটা উচিত নয়। কোনো মাঙ্গলিক কাজ যেমন গৃহপ্রবেশ বা বিয়ে করা থেকে বিরত থাকা ভালো। এছাড়া, কোনো নতুন জিনিস কেনা অথবা কাউকে টাকা ধার দেওয়া এই দিনে শুভ বলে মনে করা হয় না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, যদি কোনো দরিদ্র ব্যক্তি আপনার বাড়িতে আসে, তবে তাকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেবেন না। মহালয়ার দিন এসব নিয়ম মেনে চললে জীবনে ভালো কিছু ঘটবে এমনটাই বিশ্বাস করা হয়।