‘আমার পা ছুঁলে না কেন’… শিক্ষিকা রেগে গিয়ে ৩১ জন ছাত্রকে মারধর, ভেঙে গেল হাত

ওড়িশার ময়ূরভঞ্জ জেলার একটি সরকারি স্কুলে ঘটেছে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। এখানে এক শিক্ষিকা শুধুমাত্র এই কারণে ৩১ জন শিক্ষার্থীকে নির্মমভাবে মারধর করেছেন, কারণ তারা সকালের প্রার্থনার পর তাঁর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেনি। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর শিক্ষা বিভাগ অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করেছে। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গোটা এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনাটি ময়ূরভঞ্জ জেলার বাইসিংগা থানার অন্তর্গত একটি সরকারি আপার প্রাইমারি স্কুলের। সেখানে সহকারী শিক্ষিকা সুকান্তি কর ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণির ৩১ জন শিক্ষার্থীকে বাঁশের লাঠি দিয়ে মেরেছেন। স্কুলের ঐতিহ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থীরা প্রার্থনার পর শিক্ষকদের পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেয়। কিন্তু সেদিন সুকান্তি কর সময় মতো প্রার্থনা সভায় পৌঁছতে পারেননি। যখন তিনি পৌঁছান, তখন শিক্ষার্থীরা চলে গিয়েছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সুকান্তি কর শিক্ষার্থীদের ডেকে লাইনে দাঁড় করিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেন।

এই বর্বরতার ফলস্বরূপ একজন শিক্ষার্থীর হাত ভেঙে গেছে এবং এক ছাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছে। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ছাত্রীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। তদন্তে শারীরিক শাস্তির প্রমাণ পাওয়ায়, অভিযুক্ত শিক্ষিকা সুকান্তি করকে তাৎক্ষণিক বরখাস্ত করা হয়েছে। শিক্ষা বিভাগ এই ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছে এবং শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এই ঘটনা শিক্ষকদের সম্মান আদায়ের নামে শিশুদের ওপর শারীরিক নির্যাতনের একটি গুরুতর প্রশ্ন সামনে এনেছে।