হাওড়া মেট্রো স্টেশনে অসুস্থ হয়ে যাত্রীর মৃত্যু, আপৎকালীন চিকিৎসা পরিষেবা না-থাকার অভিযোগ

গত সপ্তাহে দক্ষিণেশ্বর মেট্রো স্টেশনে ছাত্র খুনের ঘটনার পর এবার হাওড়া মেট্রো স্টেশনে এক রাজ্য সরকারি কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো। অভিযোগ উঠেছে, স্টেশনে পর্যাপ্ত আপৎকালীন চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকার কারণেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
মৃত ব্যক্তির নাম বিশ্বজিৎ পাকড়াশি (৫১)। তিনি রাজ্য বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থার একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। সোমবার সকালে মেট্রো ধরার জন্য অপেক্ষা করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে তিনি প্ল্যাটফর্মে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যান।
সহকর্মীর বিস্ফোরক অভিযোগ
বিশ্বজিতের সহকর্মী সঞ্জয় চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, “মেট্রোর কর্মীরা সব চুপচাপ দাঁড়িয়েছিল। আমি চিৎকার করে বলি, কেউ ওঁকে এখান থেকে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। কোনও মেডিক্যাল অ্যাসিস্টের ব্যবস্থা আছে কি না, জানতে চাই। কিন্তু, ওঁরা একে অপরের মুখের দিকে চাওয়াচাওয়ি করছিল।”
সঞ্জয় আরও অভিযোগ করেন, মেট্রো কর্তৃপক্ষ প্রায় ৪৫ মিনিট সময় নষ্ট করেছে। কোনো চিকিৎসক বা অক্সিজেন মাস্ক ছাড়াই একটি ঘরে তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে একটি গাড়ি ভাড়া করে তাকে হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়, কিন্তু ততক্ষণে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তার দাবি, যদি সময়মতো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া যেত, তাহলে বিশ্বজিৎকে বাঁচানো যেত।
মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি
যদিও মেট্রো কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তাদের দাবি, সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ঘটনাটি ঘটে এবং ৯টা ৪৮ মিনিটের মধ্যে মেট্রো কর্মীরাই গাড়ির ব্যবস্থা করে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, যে পরিষেবা দেওয়া উচিত ছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া হয়েছে এবং ৪৫ মিনিট সময় নষ্ট হওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। যদিও সঞ্জয় চক্রবর্তী মেট্রো কর্তৃপক্ষের এই দাবিকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।