ধর্মনিরপেক্ষতার বার্তা, সংখ্যালঘু সুরক্ষায় কড়া পদক্ষেপ, কেন হঠাৎ ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গেলেন মুহাম্মদ ইউনূস

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস একটি ‘নয়া বাংলাদেশ’ গড়ার ডাক দিয়েছেন। তিনি মঙ্গলবার ঢাকার ঢাকেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন এবং জানান যে, তার সরকার এমন এক দেশ গড়তে চায়, যেখানে দুর্গাপূজার মতো উৎসব আয়োজনের জন্য বাড়তি নিরাপত্তার প্রয়োজন হবে না। সাধারণ নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যেই সকলে ভয়মুক্ত পরিবেশে উৎসবে মেতে উঠতে পারবেন।

নাগরিকদের সম-অধিকারের বার্তা
ঢাকেশ্বরী মন্দিরের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “কোনো ব্যক্তি ধনী হতে পারেন, আবার গরিবও হতে পারেন। প্রতিটি মানুষের নিজস্ব ধর্ম থাকে, তবে তার আগে আমরা সকলেই এই দেশের নাগরিক। এবং সংবিধান প্রতিটি নাগরিকের অধিকার সুরক্ষিত করেছে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশের সবাই মিলে আমরা একটা বড় পরিবার। প্রতিটি নাগরিক যাতে মর্যাদা এবং অধিকার নিয়ে বাঁচতে পারেন, তা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। আর এই লক্ষ্যপূরণই নতুন বাংলাদেশের প্রধান উদ্দেশ্য।”

সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়ে বিতর্ক
শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের একাধিক ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে যে, অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সরকার বারবার ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে আসছে।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, তার সরকারের কাছে দেশের প্রতিটি নাগরিক সমান এবং সংবিধান সবাইকে সমানাধিকার দিয়েছে। এর আগে জন্মাষ্টমীর সময়েও তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ দৃঢ় করার বার্তা দিয়েছিলেন। ঢাকেশ্বরী মন্দিরে এসে তিনি আবারও একই বার্তা দিলেন।