শাড়ি পরা রেট্রো ছবি বানিয়ে দিচ্ছে গুগল, আপনিও এই ট্রেন্ডে গা ভাসিয়েছেন? ব্যক্তিগত সুরক্ষার ঝুঁকি কতটা? জানুন

ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামে আজকাল একটি নতুন ট্রেন্ড খুব জনপ্রিয় হয়েছে: এআই ব্যবহার করে পুরোনো দিনের শাড়ি পরা ছবি তৈরি করা। এই ছবিগুলো দেখতে এতটাই বাস্তবসম্মত যে, মনে হয় যেন আটের বা নয়ের দশকের কোনো অ্যালবাম থেকে নেওয়া হয়েছে। গুগল-এর ‘ন্যানো ব্যানানা’ এআই টুলের মতো অ্যাপ ব্যবহার করে এই ধরনের ছবি তৈরি করা হচ্ছে। তবে এই মজার ট্রেন্ডের আড়ালে আপনার ব্যক্তিগত ছবির নিরাপত্তা নিয়ে বড় ধরনের ঝুঁকি লুকিয়ে আছে।

ব্যক্তিগত ছবি কি নিরাপদ?
এই ধরনের এআই টুলের প্রধান ঝুঁকি হলো আপনার আপলোড করা ছবির অপব্যবহার। আপনার ছবি ব্যবহার করে খুব সহজেই ‘ডিপফেক’ বা আপত্তিকর কনটেন্ট তৈরি করা সম্ভব। গুগল যদিও দাবি করছে যে, তারা তাদের এআই জেনারেটেড ছবিতে ‘SynthID’ নামে একটি অদৃশ্য ডিজিটাল ওয়াটারমার্ক ব্যবহার করে, যার মাধ্যমে বোঝা যায় ছবিটি এআই দিয়ে তৈরি। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ওয়াটারমার্ক নকল করা বা মুছে ফেলা কঠিন নয়। সাধারণ মানুষের কাছে এখনও এমন কোনো টুল নেই যা দিয়ে যাচাই করা যাবে যে একটি ছবি আসল নাকি এআই জেনারেটেড।

কী করবেন আপনি?
এই ট্রেন্ডে অংশ নেওয়া এবং নিজের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখা – দুটোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চলতে হবে:

সংবেদনশীল ছবি আপলোড করা থেকে বিরত থাকুন: আপনার একান্ত ব্যক্তিগত বা সংবেদনশীল কোনো ছবি এআই টুলে আপলোড করবেন না।

মেটাডেটা মুছে ফেলুন: ছবি আপলোড করার আগে ছবির লোকেশন ট্যাগ বা অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য (মেটাডেটা) মুছে ফেলুন।

প্রাইভেসি সেটিং কঠোর রাখুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার প্রাইভেসি সেটিং সবসময় ‘স্ট্রিক্ট’ রাখুন। এর মাধ্যমে আপনি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন কারা আপনার ছবি দেখতে পাবে।

শর্তাবলী পড়ুন: কোনো অ্যাপকে ছবি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়ার আগে তাদের শর্তাবলী ভালোভাবে পড়ে নিন।

শুধুমাত্র মজার জন্য বা কোনো ট্রেন্ডে গা ভাসানোর জন্য আপনার ডিজিটাল নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলবেন না। দিনের শেষে আপনার ডিজিটাল সুরক্ষার দায়িত্ব সম্পূর্ণ আপনার নিজের।