‘নেপালের নিয়ন্ত্রণ সেনার হাতেই থাকবে’, জারি কার্ফু, জেনেনিন কী হচ্ছে এখন?

নেপালে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে এবার দেশের নিয়ন্ত্রণ নিল সেনাবাহিনী। সরকারের পতন এবং দেশজুড়ে চলা গণবিদ্রোহের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তী সরকার গঠিত না হওয়া পর্যন্ত দেশের শাসনভার সেনাবাহিনীর হাতেই থাকবে এবং দেশজুড়ে জারি করা হয়েছে কার্ফু।

গণবিক্ষোভের মুখে ওলি সরকারের পতন
গত দুই দিন ধরে চলা গণবিদ্রোহের মুখে অবশেষে পতন ঘটেছে নেপালের ওলি সরকারের। কিন্তু সরকার পতনের পরেও দেশের পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। সর্বত্র লুঠতরাজ, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর ও জেল ভাঙার মতো ঘটনা ঘটেই চলেছে। এই অরাজকতা বন্ধ করতে সেনাবাহিনী দেশের শাসনভার নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছে। তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে আন্দোলনের নামে কোনো ধরনের অরাজকতা সহ্য করা হবে না।

সেনা মোতায়েন ও কার্ফুর নির্দেশ
বর্তমানে নেপালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, যেমন সরকারি ভবন, জেল, পশুপতিনাথ মন্দির চত্বর এবং ভারতীয় দূতাবাস সহ সব জায়গায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নেপালি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করতে তারা জনসাধারণের সহযোগিতা কামনা করছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, কিছু ব্যক্তি ও গোষ্ঠী আন্দোলনের নামে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুঠপাট, মানুষের উপর হামলা এবং ধর্ষণের চেষ্টা করছে। দেশের সামগ্রিক শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে কার্ফু জারি করা হয়েছে।

নেপালের সেনাপ্রধান জেনারেল অশোক রাজ সিগডেল পরিস্থিতিকে ‘কঠিন’ আখ্যা দিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন যে, রাষ্ট্রীয় এবং ঐতিহাসিক সম্পদ, সরকারি ও বেসরকারি সম্পত্তি, এবং বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর প্রতিনিধিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা হবে। রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা হলে কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে।

বর্তমানে নেপালের সবচেয়ে শক্তিশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে সেনাপ্রধানকেই গণ্য করা হচ্ছে, যিনি দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল করতে বদ্ধপরিকর।