মণিপুর যাচ্ছেন মোদী, তার আগেই বিক্ষোভের মুখে সরকার! চুরাচাঁদপুরে সারি সারি কফিন!

দীর্ঘদিন ধরে চলা জাতিগত সংঘর্ষে অশান্ত মণিপুর। এই পরিস্থিতিতে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মণিপুর সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তার সফরের আগেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সেখানকার পরিস্থিতি। চুরাচাঁদপুরের পিস গ্রাউন্ডে, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সভা করার কথা, সেখানেই সারি সারি ফাঁকা কফিন এনে জড়ো করেছেন আন্দোলনকারীরা। কুকি-জো গোষ্ঠীর সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে এই প্রতীকী প্রতিবাদের মাধ্যমে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করতে চেয়েছিল।

কফিন সরাল পুলিশ

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ এবং সমস্ত কফিন সরিয়ে দেয়। মণিপুর পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, এই নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন, নিরাপত্তা বাহিনী এবং কুকি-জো প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে চুরাচাঁদপুর জেলাকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে। অতিরিক্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে, ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং হেলিপ্যাড তৈরির কাজও চলছে।

মোদী কেন মণিপুর যাচ্ছেন?

২০২৩ সালের ৩ মে থেকে শুরু হওয়া এই রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এটিই মোদীর প্রথম মণিপুর সফর। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (PMO) সূত্রে জানা গেছে, তিনি প্রথমে চুরাচাঁদপুরের পিস গ্রাউন্ডে সভা করবেন এবং তারপর ইম্ফলের কাংলা ফোর্ট থেকে ভাষণ দেবেন। মেইতেই এবং কুকি জনজাতির সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত ২৫০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় ৬০ হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে মোদীর সফর যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

রাজনৈতিক পরিস্থিতি

গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং পদত্যাগ করেন। এরপরই মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে কেন্দ্রীয় সরকার, যা ২০২৬ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এমন এক রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফর সেখানকার পরিস্থিতিকে আরও জটিল করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে।