“একটিও আসন হারানো যাবে না!”, হুঁশিয়ারি অভিষেকের, কেন দমদম-ব্যারাকপুর এবং বনগাঁয় তৃণমূলের রণনীতি বদল?

২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এখন থেকেই রণকৌশল সাজাতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সাংগঠনিক জেলাভিত্তিক বৈঠক করছেন। সোমবার বনগাঁ ও উত্তর ২৪ পরগনার দমদম-ব্যারাকপুর জেলার নেতৃত্বকে তিনি স্পষ্ট বার্তা দিলেন, একটিও আসন হারালে চলবে না।
লোকসভা ভোটে বনগাঁর ফলাফল তৃণমূলকে ভাবাচ্ছে। সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে শুধুমাত্র স্বরূপনগরেই তৃণমূল এগিয়ে ছিল। এই পরিস্থিতিতে মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁয় জয় নিশ্চিত করতে নতুন কৌশল নিচ্ছেন অভিষেক। তাঁর স্পষ্ট নির্দেশ, “মতুয়া গড়ে জিততেই হবে, এর বাইরে আর কোনও দ্বিতীয় কথা নেই।”
নতুন রাজনৈতিক চাল: বিজেপি নাগরিকত্বের যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, তার মোকাবিলায় তৃণমূল এখন বাংলাভাষী শ্রমিকদের ওপর অন্য রাজ্যে হওয়া হামলার ঘটনা তুলে ধরবে। এই প্রচারের মাধ্যমে বিজেপি শাসিত রাজ্যে তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে।
পরিবারতন্ত্র নয়, সংগঠনই আসল: অভিষেক স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে ঠাকুরবাড়ির পারিবারিক কোন্দলে দল জড়াবে না। মতুয়াদের সমর্থন পেতে হলে সংগঠনের নির্ধারিত পথেই এগোতে হবে।
দমদম-ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলায় ১৪টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৩টিই তৃণমূলের দখলে। একমাত্র ভাটপাড়া আসনটি বিজেপির হাতে। এই আসনটি পুনরুদ্ধারের জন্য দলের সর্বশক্তি নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক। তিনি বলেন, “কেন ভাটপাড়ায় আমরা পিছিয়ে থাকব? এখানেও জিততে হবে।”
সাংগঠনিক রদবদল: দল সূত্রে খবর, সাংগঠনিক স্তরে কোথায় কোথায় দুর্বলতা আছে, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ব্লক ও টাউন সভাপতিদের পদেও রদবদলের ইঙ্গিত দিয়েছেন অভিষেক।
তৃণমূলের লক্ষ্য পরিষ্কার: বুথস্তর থেকে জেলা পর্যন্ত সংগঠনকে আরও মজবুত করা। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রেই জয় নিশ্চিত করতে এখন থেকেই ঝাঁপিয়ে পড়তে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দমদম-ব্যারাকপুর জেলার মতো শ্রমিক অধ্যুষিত ও মিশ্র রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই বৈঠককে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।