৯০ টাকা ভাড়া দিয়েও চরম ভোগান্তি! বনগাঁ এসি লোকালে তিল ধারণের জায়গা নেই, যাত্রীদের ক্ষোভ তুঙ্গে

নিত্যযাত্রীদের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ করে চালু হয়েছিল শিয়ালদহ-বনগাঁ রুটে এসি লোকাল। কিন্তু মাত্র দু’দিনের মধ্যেই সেই স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে। যাত্রীরা বলছেন, এর চেয়ে সাধারণ ট্রেনই ভালো! কারণ, এসি কোচেও ভিড় এতটাই যে দমবন্ধ লাগছে।

দাবি মেনেও দুর্ভোগ

হাবরার বাসিন্দা সৌভিক মজুমদার রোজ যাতায়াত করেন হাবরা থেকে বিধাননগর। এসি লোকাল চালু হওয়ায় তিনি ভেবেছিলেন যাতায়াতে স্বস্তি মিলবে। কিন্তু সোমবার সকালে ট্রেনে উঠেই তার চক্ষু চড়কগাছ। ৯০ টাকা ভাড়া দিয়েও সিট তো দূরের কথা, গেটের কাছেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে তাঁকে।

কেন এত ভিড়?

সকাল ৭টা ৪২ মিনিটে শিয়ালদহের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করা এই এসি লোকাল ট্রেনটি বনগাঁ, গোবরডাঙা, ঠাকুরনগর, হাবরা এবং দত্তপুকুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলোতে থামে। এসব স্টেশন থেকেই বিপুল সংখ্যক যাত্রী ওঠেন, যার ফলে হাবরায় পৌঁছানোর আগেই ট্রেনটি ভরে যায়। যাত্রীরা বলছেন, এসি ট্রেনের ভাড়া বেশি হলেও আরামের আশায় অনেকে চলে যাচ্ছেন, যার কারণে ভিড় বাড়ছে।

একজন যাত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “এসি ঠিকই কাজ করছে, কিন্তু এত ভিড়ে দমবন্ধ লাগে। এত টাকা খরচ করেও যদি আরাম না পাওয়া যায়, তাহলে সাধারণ ট্রেনে যাওয়াই ভালো।”

তবে যাত্রীদের একাংশ বলছেন, সকালের দিকের ডাউন এসি লোকালে ভিড় থাকলেও বিকেলের আপ এসি লোকাল এখনো তুলনামূলক ফাঁকা থাকে। তবে, যদি এই ট্রেনও যাত্রীদের ভিড়ে ভরে যায়, তাহলে কর্তৃপক্ষকে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবতে হবে।