“মোতায়েন ২১ হাজার পুলিশ, ভিড় নিয়ন্ত্রণে AI-র ব্যবহার”-গণেশ পুজোর বিসর্জনে কড়া নিরাপত্তা

শনিবার, গণেশ পুজোর শেষ দিনে, প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষে মুম্বই শহরে এক অভূতপূর্ব নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বছরই প্রথমবার মুম্বই পুলিশ ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণ এবং ভিড় সামলাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) ব্যবহার করছে। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ২১ হাজারেরও বেশি পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে।

বৃহন্মুম্বই পুরসভা (BMC) পরিবেশ সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে বিসর্জনের জন্য ৭০টি নির্দিষ্ট স্থান এবং ২৯০টির বেশি কৃত্রিম জলাশয় তৈরি করেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ১,১৭৫টি স্টিলের প্লেট বসানো হয়েছে সমুদ্রের পাড়ে। এছাড়া, ছোট মূর্তি বিসর্জনের জন্য ৬৬টি জার্মান র‍্যাফট বা ভেলা ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বছর প্রায় ৬,৫০০টি বারোয়ারি মূর্তি এবং ১.৭৫ লক্ষ বাড়ির মূর্তি বিসর্জন দেওয়া হবে।

এআই এবং ড্রোন নজরদারি

মুম্বই পুলিশের পক্ষ থেকে গিরগাঁও চৌপাট্টিতে একটি এআই কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। শহরের বিখ্যাত গণপতি মণ্ডপগুলোতে কিউআর কোড এবং শোভাযাত্রার জন্য বিশেষ স্টিকারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পুলিশ সহজেই যানবাহন এবং ভিড়ের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।

এছাড়াও, ভিড় পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোন ব্যবহার করা হবে, যেগুলোতে পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম এবং বিশেষ আলো লাগানো থাকবে। এই ড্রোনগুলো শহরের ১০,০০০ সিসিটিভি ক্যামেরার পাশাপাশি নজরদারি চালাবে। তবে ব্যক্তিগত ড্রোন ওড়ানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

মুম্বইয়ের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার সত্যনারায়ণ চৌধুরী জানান, ১২ জন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারসহ ৩,০০০ পুলিশ অফিসার এবং ১৮,০০০ পুলিশকর্মী বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন থাকবেন। এর পাশাপাশি, রাজ্য রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী, কুইক রেসপন্স টিম এবং বোম স্কোয়াডও প্রস্তুত থাকবে।

বিসর্জনের শোভাযাত্রার সুবিধার জন্য শনিবার সকাল ৭টা থেকে রবিবার মধ্যরাত পর্যন্ত শহরে ভারী যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য ২৩৬টি প্রাথমিক চিকিৎসা কেন্দ্র, ১১৫টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ১৯৭টি অস্থায়ী শৌচাগারও স্থাপন করা হয়েছে।