রাজনীতির মঞ্চে বিরল সৌজন্য! পাশাপাশি তৃণমূল বিধায়ক-বিজেপি সাংসদ, নতুন কোনও ইঙ্গিত?

রাজনীতিতে যখন সৌজন্যের অভাব নিয়ে প্রতিনিয়ত বিতর্ক চলে, তখন এক অন্য ছবি দেখা গেল উত্তর দিনাজপুরের কানকি রেল স্টেশনে। শুক্রবার এখানে রাজনীতির ভিন্ন মঞ্চে দাঁড়িয়েও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করলেন চাকুলিয়ার তৃণমূল বিধায়ক মিনাজুল আরিফিন আজাদ এবং রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ কার্তিক চন্দ্র পাল। উপলক্ষ ছিল কলকাতাগামী তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের নতুন স্টপেজের শুভ উদ্বোধন।
কানকি রেল স্টেশনে দূরপাল্লার ট্রেনের স্টপেজের দাবি স্থানীয় মানুষের দীর্ঘদিনের ছিল। এই সুযোগটি না থাকায় তাদের বিহারের কিষানগঞ্জ পর্যন্ত যেতে হতো, যা ছিল এক বড় ভোগান্তির কারণ। অবশেষে তিস্তা তোর্সা এক্সপ্রেসের স্টপেজ চালু হওয়ায় কলকাতা যাতায়াত এখন অনেক সহজ হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুই রাজনৈতিক নেতা পরস্পরকে প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন। বিধায়ক মিনাজুল আরিফিন আজাদ সাংসদ কার্তিক চন্দ্র পালের উদ্যোগের প্রশংসা করেন। অন্যদিকে, সাংসদও বিধায়কের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। সাধারণ মানুষ এই দৃশ্য দেখে অভিভূত হয়েছেন। এই ঘটনা প্রমাণ করে দিল যে, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকলেও এলাকার উন্নয়নের স্বার্থে নেতারা ঐক্যবদ্ধ হতে পারেন।
সাংসদ কার্তিক চন্দ্র পাল রেল স্টেশনে পৌঁছানোর জন্য নতুন রাস্তা তৈরির বিষয়ে বিধায়কের কাছে জমি অধিগ্রহণের অনুরোধ জানান। দুজনেই আশ্বাস দেন যে, তারা ভোটের রাজনীতি পাশে সরিয়ে একযোগে এলাকার উন্নয়নে কাজ করবেন। এই পারস্পরিক সম্মান এবং সহযোগিতার ছবি স্থানীয় রাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।