চাকরি ও পদোন্নতির জন্য TET বাধ্যতামূলক! শিক্ষকদের কড়া রায় সুপ্রিম কোর্টের, হাতে সময় দু’বছর

দেশের শিক্ষকদের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। উচ্চতর যোগ্যতার পরীক্ষা, অর্থাৎ টিইটি (TET) পাশ করা এখন থেকে সকল শিক্ষকের জন্য বাধ্যতামূলক। এই রায় শুধু নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষকদের জন্য নয়, বরং বর্তমানে কর্মরত শিক্ষকদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
শিক্ষকদের যোগ্যতা সংক্রান্ত একাধিক মামলার শুনানিতে বিচারপতি দীপাঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি মনমোহনের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, চাকরির সুরক্ষা এবং পদোন্নতির সুযোগ পেতে হলে কর্মরত শিক্ষকদেরও টিইটি পরীক্ষা পাশ করতে হবে। এই নিয়ম ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশন (NCTE)-এর ২০১১ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আনা হয়েছে, যেখানে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য টিইটি বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এতদিন পর্যন্ত অনেকে মনে করতেন যে, এই নিয়ম পুরোনো শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই ধারণা বাতিল করে দিয়েছে।
কাদের জন্য ব্যতিক্রম?
এই রায়ের কিছু ব্যতিক্রমও রয়েছে।
সংখ্যালঘু স্কুল: সংখ্যালঘু সম্প্রদায় পরিচালিত স্কুলগুলোর শিক্ষকরা এই নিয়মের বাইরে থাকবেন।
অবসরের কাছাকাছি শিক্ষক: যেসব শিক্ষকের অবসরের আর ৫ বছরেরও কম সময় বাকি আছে, তাদের টিইটি দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়। তবে এর ফলে তাদের পদোন্নতি আটকে যাবে।
অন্যান্য শিক্ষক: যাদের অবসরের ৫ বছরের বেশি সময় রয়েছে, তাদের জন্য সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগামী দু’বছরের মধ্যে তাদের টিইটি পাশ করতে হবে, অন্যথায় তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি থাকবে।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায় সরাসরি দেশের প্রায় ৫০ লক্ষ শিক্ষকের ওপর প্রভাব ফেলবে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলোর প্রচুর সংখ্যক শিক্ষক রয়েছেন। তাদের হাতে এখন সময় মাত্র দু’বছর।