নারী শিক্ষায় নতুন দিশা! ত্রিপুরায় তৈরী হচ্ছে মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়, বড় ঘোষণা মানিক সাহার

শিক্ষা এবং নারীর ক্ষমতায়ন, এই দুই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ত্রিপুরা সরকার এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ নিতে চলেছে। শিক্ষক দিবসের মূল অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা ঘোষণা করেছেন, খুব শীঘ্রই রাজ্যে একটি নতুন মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। এই উদ্যোগের ফলে রাজ্যের মেয়েরা উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আরও বেশি সুযোগ পাবে এবং আত্মনির্ভরতার পথে এগিয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সরকার যোগ্য শিক্ষকদের নিয়োগ দিচ্ছে এবং রাজ্যে আরও তিনটি নতুন সরকারি কলেজ স্থাপন করছে।’ তিনি আরও জানান, ‘কন্যা আত্মনির্ভর যোজনার অধীনে ছাত্রীদের স্কুটি দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা সহজে কলেজে যাতায়াত করতে পারে।’ এর পাশাপাশি, সরকারি ডিগ্রি কলেজগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের, বিশেষ করে মেয়েদের, সমস্ত ফি মকুব করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে শিক্ষকদের প্রতি বিশেষ সম্মান জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শিক্ষকরাই হলেন জাতি গঠনের মূল ভিত্তি। ‘অর্থ উপার্জনের জন্য অন্য পেশা বেছে নেওয়া যায়, কিন্তু শিক্ষকরা দায়িত্ব ও আবেগ থেকেই এই পেশায় আসেন।’ তিনি শিক্ষকদের একটি গাছের শিকড়ের সঙ্গে তুলনা করেন, যা শক্ত ভিত গড়ে তোলে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের আলোকিত ভবিষ্যতের পথ দেখায়। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জাতীয় শিক্ষানীতি ত্রিপুরায় ইতিমধ্যেই বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
সরকারি কর্মচারীদের ডিএ (DA) ও ডিআর (DR) প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অতীতে কর্মচারীদের আন্দোলন করতে হয়েছে, কিন্তু বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে তাদের স্বার্থ সুরক্ষায় কাজ করছে।’ তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, সরকার কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-ডিআর ব্যবধান কমানোর জন্য সবরকম চেষ্টা করবে।
শিক্ষক দিবস উপলক্ষে রাজ্যের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. অতুল দেববর্মাকে ‘পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর সম্মান’, সমাজসেবী সমীর চক্রবর্তীকে ‘ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি সম্মান’, এবং শিক্ষিকা প্রণতি দেববর্মাকে ‘মহারানী তুলসীবতি সম্মান’ প্রদান করা হয়। শিক্ষা দপ্তরের আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন।