নয়া সামরিক চুক্তি! এবার আরও S-400 কিনছে ভারত, চরম উদ্বেগে পাকিস্তান-চিন

সাম্প্রতিক ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে ভারত ও রাশিয়ার কৌশলগত সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে। আমেরিকা বারবার চাপ সৃষ্টি করলেও, ভারত রাশিয়ার সাথে তার বাণিজ্যিক এবং সামরিক সম্পর্ককে গুরুত্ব দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায়, এবার ভারত তার আকাশসীমা সুরক্ষার জন্য রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক S-400 মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের সংখ্যা বাড়াতে চলেছে। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই দুই দেশের মধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে, যা প্রতিবেশী চিন ও পাকিস্তানের জন্য বড় উদ্বেগের কারণ হতে পারে।
S-400 নিয়ে নতুন চুক্তি?
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারত আরও বেশ কিছু S-400 মিসাইল সিস্টেম কেনার জন্য রাশিয়ার সাথে আলোচনা শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তা দিমিত্রি শুগায়েভ জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে আলোচনা ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছে এবং খুব শীঘ্রই নতুন চুক্তি সই হতে পারে।
এর আগে ২০১৮ সালে, চিন সীমান্তের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কথা মাথায় রেখে ভারত ৫.৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে পাঁচটি S-400 মিসাইল সিস্টেম কেনার চুক্তি করেছিল। যদিও কিছু সমস্যার কারণে সরবরাহ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছিল, তবুও ২০২৬-২৭ সালের মধ্যে বাকি দুটি সিস্টেম ভারত হাতে পাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগেই নতুন করে আরও S-400 কেনার পরিকল্পনা ভারতের প্রতিরক্ষানীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন নির্দেশ করে।
S-400 কেন ভারতের জন্য অপরিহার্য?
S-400 মিসাইল সিস্টেমটি আধুনিক সামরিক প্রযুক্তির এক অনন্য উদাহরণ। এটি ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে শত্রুর ক্ষেপণাস্ত্র বা ড্রোন শনাক্ত করতে পারে এবং ৪০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা লক্ষ্যবস্তুকে সহজেই নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। ২০১৯ সালে পাকিস্তানের বালাকোট হামলার পর যখন পাক বিমান বাহিনী ভারতে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল, তখন S-400-এর মতো প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভারতের আকাশসীমাকে সুরক্ষিত রেখেছিল।
ভারত ইতিমধ্যেই পাকিস্তান ও চিনের ওপর নজর রাখতে রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং উত্তর-পূর্ব সীমান্তে তিনটি S-400 সিস্টেম মোতায়েন করেছে। নতুন করে এই ডিফেন্স সিস্টেমের সংখ্যা বাড়ানো হলে তা শুধু ভারতের সামরিক শক্তিই বৃদ্ধি করবে না, বরং দেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে আরও দুর্ভেদ্য করে তুলবে। এটি ভারতের আকাশসীমার সুরক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি শত্রুপক্ষকে প্রতিরোধ করার ক্ষমতাকেও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে।