ছোট্ট একটি যন্ত্রাংশ, কিন্তু বাইকের জন্য অত্যন্ত জরুরি! সময়মতো না বদলালে বড় বিপদে পড়বেন

বাইকপ্রেমীদের জন্য বাইকের প্রতিটি যন্ত্রাংশই গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য অবহেলাতেই বড় ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বাইকের এমন একটি ছোট্ট কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশ হলো স্পার্ক প্লাগ। এই প্লাগের ওপরই নির্ভর করে বাইকের পারফরম্যান্স, মাইলেজ এবং ইঞ্জিন স্টার্ট নেওয়ার ক্ষমতা। সময়মতো স্পার্ক প্লাগ না বদলালে বাইকের ইঞ্জিনে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে।
স্পার্ক প্লাগের কাজ
ইঞ্জিনের মধ্যে জ্বালানি ও বাতাসের মিশ্রণকে জ্বালাতে স্পার্ক প্লাগ একটি স্ফুলিঙ্গ তৈরি করে। এই স্ফুলিঙ্গই বাইকের ইঞ্জিন চালু করতে এবং সচল রাখতে সাহায্য করে। তাই এর কার্যকারিতা বাইকের overall পারফরম্যান্সের জন্য অপরিহার্য।
কখন স্পার্ক প্লাগ বদলাবেন?
টু-হুইলার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্পার্ক প্লাগের আয়ু নির্ভর করে এর মান এবং বাইকের ব্যবহারের ওপর।
- স্ট্যান্ডার্ড কপার স্পার্ক প্লাগ: এই ধরনের প্লাগ সাধারণত প্রতি ১২,০০০ থেকে ১৫,০০০ কিলোমিটার পর বদলানো উচিত।
- প্লাটিনাম বা ইরিডিয়াম স্পার্ক প্লাগ: এইগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি টেকসই এবং ২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ভালো পারফরম্যান্স দিতে পারে।
স্পার্ক প্লাগ খারাপ হওয়ার লক্ষণ
স্পার্ক প্লাগ দুর্বল হয়ে গেলে কিছু লক্ষণ দেখা যায়:
- স্টার্ট নিতে দেরি: বাইক স্টার্ট করতে অতিরিক্ত সময় লাগতে পারে।
- মাইলেজ কমে যাওয়া: জ্বালানি ভালোভাবে না পোড়ায় মাইলেজ উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায়।
- ইঞ্জিন মিসফায়ার: ইঞ্জিন হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অস্বাভাবিক শব্দ করা।
- এক্সেলারেটরে দুর্বল সাড়া: থ্রটল বা এক্সেলারেটর ভালোভাবে কাজ করে না।
নিয়মিত সার্ভিসিং করানো খুবই জরুরি। প্রতি ৫,০০০ থেকে ৬,০০০ কিলোমিটার পর বাইক সার্ভিসিংয়ের সময় স্পার্ক প্লাগ পরীক্ষা করানো উচিত। এটি করলে স্পার্ক প্লাগ খারাপ হওয়ার আগেই তা বদলে ফেলা যায়, যার ফলে বাইকের ইঞ্জিন সবসময় ভালো অবস্থায় থাকে।