গোটা রাজ্যে একটানা চারদিন বন্ধ থাকবে সব স্কুল! বড় ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর, জেলায় জেলায় জারি হল চরম সতর্কতা

পঞ্জাবে গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান আগামী চার দিনের জন্য সব স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা করেছেন। ছাত্রছাত্রীদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান তাঁর এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডেলে জানিয়েছেন যে, আজ, ২৭ আগস্ট বুধবার থেকে আগামী ৩০ আগস্ট শনিবার পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল বন্ধ থাকবে। আবহাওয়া দপ্তর আরও কয়েকদিন ধরে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

টানা বৃষ্টির কারণে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা দেখা দিয়েছে। এর মধ্যে পাঠানকোট, গুরুদাসপুর, ফাজিলকা, ফিরোজপুর এবং হোশিয়ারপুরের মতো জেলাগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু রাস্তাঘাট জলে ডুবে আছে এবং পাঠানকোট থেকে জম্মু যাওয়ার জাতীয় সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাভি নদীর ওপরের একটি সেতুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এমনকি, পঞ্জাব ও জম্মুর মধ্যে সংযোগকারী লখনপুর সেতুটিও ভেঙে পড়েছে।

বন্যা পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন। এই কমিটি ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ করবে। আজ মুখ্যমন্ত্রী নিজে পাঠানকোট ও গুরুদাসপুরের বন্যা পরিস্থিতি দেখতে যাবেন।

আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, পঞ্জাবের পাঁচটি জেলায়, যেমন— পাঠানকোট, গুরুদাসপুর, বরনালা, সাংরুর এবং মনসা— আজ অতি ভারী বৃষ্টির জন্য লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীর এবং হিমাচল প্রদেশেও রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে, যা পঞ্জাবে বন্যার একটি বড় কারণ।

গত মঙ্গলবার বরনালা জেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক ১১ বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এটি জলমগ্ন রাস্তার কারণে ঘটেছে।

আবহাওয়া দপ্তর আরও জানিয়েছে যে, গত ৫৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার পঞ্জাব এত ঠান্ডা আগস্ট মাস দেখল। ২৬ আগস্ট তাপমাত্রা নেমে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। আগামী তিন-চার দিনও পঞ্জাবজুড়ে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।