“একই বাড়িতে একাধিক ধর্মের ভোটার?”-ভোটচুরি নিয়ে অভিষেককে প্রশ্ন অনুরাগ ঠাকুরের

সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বিজেপি ভোট চুরি করেছে—কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর এমন অভিযোগের কড়া জবাব দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ অনুরাগ ঠাকুর। দিল্লিতে বিজেপির সদর দফতর থেকে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ ব্যাহত করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ তোলার পাল্টা অভিযোগ করেছেন।
সোমবার নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরে রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিক্ষোভ কর্মসূচির পর থেকেই রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছিল। সেই বিক্ষোভে রাহুল গান্ধী ক্যামেরার সামনে বলেছিলেন, “পিকচার আভি বাকি হ্যায়। নির্বাচন কমিশন কীভাবে ভোট চুরি করেছে, তা একে একে তুলে ধরা হবে। শুধু কর্ণাটকের একটি আসন নয়, দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রে জালিয়াতি হয়েছে। মোদি কীভাবে ভোট চুরি করে নির্বাচন জিতেছেন, তা দেখতে পাবেন।”
রাহুলের এই মন্তব্যের পর বিজেপিও পাল্টা আক্রমণের পথে হাঁটে। অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “নির্বাচন কমিশন ও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা দেশের জনগণের ভোটাধিকারকে ছোট করতে চাইছে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, দেশের মানুষ বারবার কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করায় তারা এখন অনুপ্রবেশকারীদের ব্যবহার করে ভোটব্যাঙ্ক বাড়াতে চাইছে। অনুরাগ বলেন, “রাহুল গান্ধী মস্ত ভুল করছেন। নির্বাচনের সময়ও তাঁরা সংবিধান সম্পর্কে মিথ্যা প্রচার করেছেন এবং এখন আবার মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছেন। আসলে কংগ্রেসের কাছে আর কোনো ইস্যু নেই।”
অনুরাগ ঠাকুর এই প্রসঙ্গে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি এবং পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের উদাহরণ টেনে আনেন। তিনি বলেন, “রায়বরেলিতে ৮৩, ১৫১, ২১৮ নম্বর বুথে বারবার মহম্মদ কাইফ খানের নাম পাওয়া গেছে। আবার ডায়মন্ড হারবারের ১০৩ নম্বর বাড়ির ০০১১ নম্বর বাড়িতে বিভিন্ন ধর্মের ভোটারের নাম রয়েছে। অভিষেক এবং রাহুল অনেক দিন ধরে সাংসদ, তাঁরা কি এই তথ্যগুলো জানেন না?”
তিনি আরও বলেন, “শুধুমাত্র প্রকৃত ভারতীয় এবং নাগরিকদের ভোটাধিকার থাকা উচিত। অথচ রায়বরেলিতে অনেক মানুষ ৩-৪টি বুথে ভোট দেন। ডায়মন্ড হারবারে খুরশিদ আলম বারবার তালিকায় আসেন, কিন্তু তাঁর বাবার নাম প্রতিবার বদলে যায়। একই জায়গায় ৫২ জন ভোটার আছেন। এগুলো কীভাবে সম্ভব? এই দুর্নীতির জন্য কি রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধী পদত্যাগ করবেন?”
অনুরাগ ঠাকুর মহারাষ্ট্র নির্বাচনের সময়ও কংগ্রেসের ভোট কারচুপির অভিযোগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, “পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, কংগ্রেস মিথ্যা বলছে।” তিনি বলেন, এই ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগের মাধ্যমে কংগ্রেস দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।