ফেসবুকের প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর চেষ্টা, কন্ডাক্টরের বুদ্ধিতে পাচারের আগে উদ্ধার নাবালিকা

সরকারি বাসের এক কন্ডাক্টরের উপস্থিত বুদ্ধির কারণে পাচারের হাত থেকে রক্ষা পেল বালুরঘাটের এক নাবালিকা। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হওয়ার পর সে তার প্রেমিকের সঙ্গে বাসে চেপে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। কন্ডাকটরের বিচক্ষণতায় নদিয়ার কালীগঞ্জ থানায় তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নাবালিকাটি বালুরঘাটের তপনের বাসিন্দা হলেও পড়াশোনার জন্য দীর্ঘদিন ধরে তার মামার বাড়িতে থাকত। সম্প্রতি ফেসবুকে বিহারের এক যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সোমবার ভোরে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করে এবং দু’জনে মিলে একটি সরকারি বাসে চেপে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেয়।

বাসে তাদের কথোপকথন ও আচরণে সন্দেহ হয় কর্তব্যরত এক বাস কর্মীর। তিনি কৌশলে তাদের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তাদের কথাবার্তায় অসংলগ্নতা ধরা পড়লে কন্ডাক্টর বিষয়টি বাসের চালককে জানান। নদিয়ার পলাশি পার হওয়ার পর তারা বাসটি নিয়ে সরাসরি কালীগঞ্জ থানায় হাজির হন এবং দু’জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

বালুরঘাট থানায় নাবালিকার পরিবার আগেই নিখোঁজ ডায়েরি করেছিল। কালীগঞ্জ থানা থেকে খবর পেয়ে বালুরঘাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মঙ্গলবার দু’জনকেই বালুরঘাট কোর্টে তোলা হয়। নাবালিকার শারীরিক পরীক্ষার পর তাকে শিশু কল্যাণ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে এবং ধৃত যুবককে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।

নাবালিকার মামা জানান, “আমাদের সন্দেহ, বিহারের ওই যুবক ফুসলিয়ে আমার ভাগ্নিকে পাচারের ছক কষেছিল। বাস কর্মীর বুদ্ধিমত্তায় এ যাত্রায় রক্ষা পাওয়া গেছে।” বালুরঘাট থানার আইসি সুমন্ত বিশ্বাস জানান, “নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” ওই সরকারি বাসের কন্ডাক্টরের নাম জানা না গেলেও তার এই তৎপরতা ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।