“পাকিস্তানে একের পর এক মিসাইল মেরে”-বাঁধ খুলে সুনামি তৈরির হুমকি দিলেন মিঠুন

সিন্ধু নদ জলবণ্টন চুক্তিকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। পাকিস্তানের প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির যুদ্ধের হুঁশিয়ারির জবাবে ভারতের বিজেপি নেতা ও অভিনেতা মিঠুন চক্রবর্তী কড়া পাল্টা হুমকি দিয়েছেন।

বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি সম্প্রতি এক মন্তব্যে বলেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যদি সিন্ধু নদের ওপর কোনো হামলার ঘোষণা করেন, তবে তা পাকিস্তানের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সভ্যতার ওপর হামলা হিসেবে গণ্য হবে। তিনি আরও বলেন, “যদি যুদ্ধ বাধে, তাহলে মোদিকে আটকানোর ক্ষমতা পাকিস্তানের মানুষের আছে। আরেকবার যদি যুদ্ধ বাধে তাহলে পাকিস্তান তার ছয় নদীর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করবে।”

বিলাওয়ালের এই হুমকির পরই ভারতের রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তী মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিলাওয়ালের মন্তব্যের কড়া জবাব দেন। তিনি বলেন, “যদি বিলাওয়াল এভাবে হুমকির সুরে কথা বলতে থাকেন, তাহলে ভারতের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাবে। তখন ভারত একের পর এক ব্রাহমোস মিসাইল নিক্ষেপ করবে। এরপর আমরা যদি বাঁধ খুলে দেই, তাহলে পাকিস্তানে সুনামি হবে।”

মিঠুন চক্রবর্তী তার মন্তব্যে কিছুটা সুর নরম করে বলেন, “পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে আমার কোনো অভিযোগ নেই। আমিও তাদের মতো যুদ্ধ চাই না। আমার এসব কথা কেবল বিলাওয়াল ভুট্টোর জন্য।”

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদ জলবণ্টন চুক্তি একটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। ১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত এই চুক্তি অনুসারে, সিন্ধু, ঝিলাম এবং চেনাব—এই তিনটি পশ্চিমের নদীর জল ব্যবহারের অধিকার পাকিস্তানের হাতে ন্যস্ত। অন্যদিকে, রাভি, বিয়াস এবং শতদ্রু—এই তিনটি পূর্বের নদীর জল ব্যবহারের অধিকার ভারতের হাতে রয়েছে। উভয় দেশের মধ্যে যখনই রাজনৈতিক সম্পর্ক খারাপ হয়, তখনই এই চুক্তি নিয়ে বিতর্ক ও উত্তেজনা বাড়ে।

বিলাওয়ালের সাম্প্রতিক মন্তব্য এবং মিঠুন চক্রবর্তীর কড়া প্রতিক্রিয়া এই সংবেদনশীল বিষয়টিকে নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস