পশ্চিম মেদিনীপুরে ভুয়ো ভোটারের হদিশ, রবীন্দ্রনাথ অধিকারী নাকি মাহালি- বিতর্কে সরগরম রাজনীতি

ভুয়ো ভোটার বিতর্কে সরগরম হয়ে উঠেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর শহর মেদিনীপুর। মেদিনীপুর সদর বিধানসভা কেন্দ্রের কালগাং মালিয়াড়া এলাকার ১৩১ নম্বর বুথে এমন এক ভুয়ো ভোটারের হদিশ মিলেছে, যা নিয়ে তৃণমূল এবং বিজেপি একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে।
ভোটার তালিকায় রবীন্দ্রনাথ অধিকারী নামের এক ব্যক্তির অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, যার বাড়ির নম্বর ২১৮। মজার বিষয় হলো, একই বাড়ির নম্বরে রবীন্দ্রনাথ মাহালি নামে আরও একটি ভোটার কার্ড রয়েছে, যিনি নিজেকে আসল বাসিন্দা বলে দাবি করছেন। এই নিয়ে এলাকায় কে আসল আর কে নকল, তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধন্দ।
তৃণমূল কংগ্রেস সরাসরি নির্বাচন কমিশনের কাজে নিযুক্ত বুথ লেভেল অফিসার (বিএলও)-দের ওপর দায় চাপিয়েছে। তাদের দাবি, বিএলও-দের ভুলের কারণেই মেদিনীপুর সদর বিধানসভার ভোটার তালিকায় ভুয়ো নাম রয়ে গেছে। তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ দাস বলেন, “আমাদের এখানে কিছু মৃত ও ভুয়ো ভোটার আছে। আমরা বিএলও-কে বহুবার জানিয়েছি, কিন্তু নাম বাদ দেওয়া হয়নি। বিজেপি এসব নিয়ে চক্রান্ত করছে।”
অন্যদিকে, বিজেপি এই বিতর্কের জন্য প্রশাসন ও তৃণমূল কংগ্রেস উভয়কেই দায়ী করেছে। বিজেপির অভিযোগ, মেদিনীপুরের কালগাং এলাকায় মৃত ও ভুয়ো ভোটারদের নাম ভোটার তালিকায় থাকার একাধিক উদাহরণ আছে। প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য নিরঞ্জন হালদার বলেন, “আমাদের ১৩১ নম্বর বুথে ৭০-৮০ জন মৃত ভোটারের পাশাপাশি বেশ কিছু ভুয়ো ভোটার রয়েছে। আমরা বহুবার বিডিও অফিসে আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি।” তার দাবি, তৃণমূলের কারসাজিতেই এসব নাম ভোটার তালিকায় থেকে যায়।
এদিকে, এই বিষয়ে প্রশাসন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। ভুয়ো ভোটারের এই ঘটনাটি এমন এক সময়ে সামনে এলো, যখন সারা দেশে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক তুঙ্গে। রবীন্দ্রনাথ মাহালির স্ত্রী তারামণি মাহালি বলেন, “আমরা মাহালি পরিবার, অধিকারী পদবির কেউ এখানে থাকে না। ভুয়ো ভোটার হলে নাম বাদ যাওয়া উচিত, না হলে আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি।”