ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ, চুঁচুড়ায় ডেপুটি মেয়র ও স্ত্রীর নাম না থাকায় চাঞ্চল্য

রাজ্য-রাজনীতিতে ‘এসআইআর’ বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (SIR) নিয়ে যখন জোর বিতর্ক চলছে, ঠিক তখনই চুঁচুড়া পুরসভায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। চন্দননগর কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র অমিত আগরওয়াল (মুন্না) এবং তাঁর স্ত্রী ববিতা আগরওয়ালের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নেই। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।
তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এসআইআর-এর জুজু দেখিয়ে সাধারণ মানুষকে ভয় দেখাচ্ছে। অন্যদিকে, বিজেপি দাবি করছে, তৃণমূল ভুয়ো ভোটার ধরা পড়ার ভয়ে আতঙ্কিত।
কমিশনের পক্ষ থেকে সম্প্রতি যে ২০০২ সালের ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে চন্দননগর বিধানসভার ২ নম্বর অংশের খলিসানী বৌবাজারের বুথে ডেপুটি মেয়র ও তাঁর স্ত্রীর নাম নেই। যদিও অমিতের মা ও ভাইয়ের নাম সেই তালিকায় রয়েছে।
এই বিষয়ে ডেপুটি মেয়র অমিত আগরওয়াল বলেন, “২০০২ সালের পর থেকে আমি প্রতিটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছি এবং তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছি। আমার সমস্ত নথি আছে, যা আমি দেখাতে পারব। কিন্তু সাধারণ মানুষ, যারা আর্থসামাজিকভাবে পিছিয়ে আছে, তাদের ক্ষেত্রে কী হবে? বিজেপি ভুয়ো ভোটারের কথা বলছে, কিন্তু তা ধরার দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনের। নোটবন্দির মতো এসআইআর-এর নামে মানুষকে হয়রান করা হচ্ছে। আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী এবং ডেপুটি মেয়র, আমারই যদি নাম না থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?”
বিজেপির চন্দননগর বিধানসভার কনভেনার গোপাল চৌবে পাল্টা বলেছেন, “এ রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ভয় পেয়েছে। কারণ এসআইআর হলে তাদের ভুতুড়ে ভোটারদের নাম বাদ যাবে, যাদের ভোটে এতদিন তারা জিতেছে। মুন্না আগরওয়ালের নাম না থাকার দায় বিজেপির নয়। ২০০২ সালে এ রাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার ছিল, তার দায় তাদেরই নিতে হবে।”
এই ঘটনায় চুঁচুড়া পুরসভা এবং জেলার রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।