নবান্ন অভিযানের সময় নির্যাতিতার মাকে মারধরের অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করল কলকাতা পুলিশ। আজ একটি সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নির্যাতিতার মাকে রাস্তায় ফেলে মারার কোনো প্রমাণ বা ভিডিও ফুটেজ তাদের কাছে নেই। তবে তার যদি কোনো আঘাত লেগে থাকে, তবে তা দুর্ভাগ্যজনক।

কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (সদর) মীরাজ খালিদ, জয়েন্ট সিপি ক্রাইম রূপেশ কুমার এবং ডিসি সেন্ট্রাল ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় এক যৌথ সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার দিনের আরও ভিডিও ফুটেজ এবং ছবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, যাতে কোনোভাবে পুলিশের পক্ষ থেকে হেনস্থা করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়। একইসঙ্গে, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগ নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা হয়েছে বলেও জানানো হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে, যদি কারো কাছে নির্যাতিতার মাকে মারধরের কোনো প্রমাণ বা ভিডিও থাকে, তবে তা যেন পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

পুলিশের পক্ষ থেকে পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে যে, নবান্ন অভিযানের দিন বিক্ষোভকারীরা বিনা প্ররোচনাতেই পুলিশ কর্মীদের আক্রমণ করে। কলকাতা পুলিশের ডিসি (এসএসডি)-এর দেহরক্ষী বিক্ষোভকারীদের মারধরে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলেও পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ আরও দাবি করে যে, নবান্ন অভিযানের জন্য বিক্ষোভকারীরা কোনো আগাম অনুমতি নেয়নি। সমাজমাধ্যম থেকে খবর পেয়ে পুলিশ নিজেদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সামাল দেওয়ার প্রস্তুতি নেয়। হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে সাঁতরাগাছি এবং আরআর অ্যাভিনিউতে বিক্ষোভকারীদের জন্য জমায়েতের জায়গাও করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা সেই নির্দেশ অমান্য করে ধর্মতলার ডোরিনা ক্রসিং থেকে পার্ক স্ট্রিটের দিকে এগোতে থাকে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় পুলিশকে আক্রমণ, গালিগালাজসহ বিভিন্ন অভিযোগে মোট ছয়টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।