‘আগে লোকসভা ভেঙে দিন, তারপর SIR’, ইস্তফা প্রসঙ্গে বিজেপিকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ অভিষেকের

মঙ্গলবার দিল্লি রওনা হওয়ার আগে ফের একবার লোকসভা ভেঙে দিয়ে নতুন করে SIR (Special Intensive Revision of Electoral Rolls)-এর মাধ্যমে নির্বাচন করানোর হুঁশিয়ারি দিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধেও ফের তোপ দাগেন তিনি। দিল্লিতে দলীয় সাংসদদের নিয়ে বৈঠকের আগে অভিষেক বলেন, “কমিশনের সব দাবি যদি মেনে নিই, তা হলে বলতে হবে, এই ভোটার লিস্টের ভিত্তিতেই দেশে লোকসভা নির্বাচন হয়েছিল। এই ভোটার লিস্টের ভিত্তিতেই দেশে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তা হলে ওনারা সবার প্রথমে পদত্যাগ করুন।”
শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা ও পুলিশের বর্বরতা:
সোমবার দিল্লিতে বিরোধী জোটের সাংসদরা নির্বাচন কমিশনের সদর দফতরের সামনে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিল করেন। সেই প্রসঙ্গে অভিষেক বলেন, “গতকালকের মিছিল শান্তিপূর্ণ ছিল। লোকসভা, রাজ্যসভা মিলিয়ে মোট ৩০০ জন জনপ্রতিনিধি ছিলেন। দীর্ঘদিন পরেও আমাদের কেন ডিজিটাল ভোটার লিস্ট দেওয়া হবে না? কেন জোর করে SIR করা হবে? এই সকল প্রশ্ন নিয়েই কমিশনের সদর দফতরে মিছিল করেন বিভিন্ন বিরোধী দলের সাংসদরা। কিন্তু ওদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পুলিশের বর্বরতা, অতিসক্রিয়তা মানুষ দেখেছেন।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ মহিলা সাংসদদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। অভিষেক বলেন, “সাংসদদের আটক করে থানায় বসিয়ে রাখল। ওরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। মানুষের প্রশ্ন নিয়ে গিয়েছিল। কমিশন তো নিরপেক্ষ, ওরা কেন উত্তর দিচ্ছে না?” এই প্রসঙ্গে কমিশনকে বিজেপির ‘কৃতদাস’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি।
পাল্টা জবাব সুকান্ত মজুমদারের:
অভিষেকের এই বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “২০০২-০৩ সালে SIR-এ প্রায় ২০ লক্ষের বেশি নাম বাদ গিয়েছিল। সেই সময় বা তার আগে যে সরকার নির্বাচিত হয়েছিল, তা হলে তাদের ফেলে দেওয়া উচিত ছিল। বিশেষ ও নিবিড় ভোটার পরিমার্জন ভারতে বছর বছর ধরে হয়ে আসছে। এটা প্রথম নয়।” তিনি আরও বলেন, ভারতের স্বাধীনতার পর কোনও NRC রেজিস্টার তৈরি করা উচিত ছিল। তাই সময় মতো SIR হয়।
অভিষেকের হুঁশিয়ারি:
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানান, যদি বিজেপি ভুয়ো ভোটারের কথা বলে, তবে তৎকালীন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হোক। তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে বাংলায় SIR-এ একজনের নাম বাদ গেলে এক লক্ষ লোক নিয়ে কমিশন ঘেরাও করা হবে।