‘ঢপের আইন’ বলছেন শ্রীলেখা, পথকুকুর দত্তক নিয়ে প্রতিবাদী সুর স্বস্তিকার মুখেও

পথকুকুরদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সম্প্রতি দেওয়া এক নজিরবিহীন রায়ের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শীর্ষ আদালত দিল্লি ও এনসিআর এলাকায় পথকুকুরদের স্বাধীনভাবে ঘোরাফেরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এই রায়ের প্রতিবাদে পশুপ্রেমীরা ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছেন এবং বলিউড তারকারাও নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এবার টলিউডের দুই জনপ্রিয় অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় এবং শ্রীলেখা মিত্র এই রায়ের তীব্র বিরোধিতা করে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন।

উভয় অভিনেত্রীই পশুপ্রেমী হিসেবে পরিচিত এবং নিয়মিত পথকুকুরদের নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক পোস্ট করে থাকেন। তাদের বাড়িতেও পোষা পথকুকুর রয়েছে। তাই এই অবলা প্রাণীদের ওপর অন্যায় হলে তারা চুপ করে থাকেননি।

স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়ের আবেগপূর্ণ আবেদন:

সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের পর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায় একাধিক পোস্ট করে দিল্লিবাসীর কাছে মানবিক আবেদন জানিয়েছেন। তিনি সকলকে অনুরোধ করেছেন একটি বা তার বেশি দেশি কুকুর দত্তক নেওয়ার জন্য। অভিনেত্রী তার পোস্টে লেখেন, “আপনি যদি দিল্লির বাসিন্দা হয়ে থাকেন, তাহলে পথে থাকা কুকুরদের দত্তক নিন। এরা খুব স্বাস্থ্যবান হয়, খরচ কম আর এরা আপনাকে যে ভালোবাসা-সহচর্য দেবে তা আপনি ভাবতেও পারবেন না।” তিনি আরও বলেন, “মানবতার খাতিরে এতটুকু করুন। একটা বড় উদ্যোগে সামিল হন।” তিনি জানান যে, আদালতের কাছে পুনর্বিবেচনার আবেদন জমা পড়েছে, কিন্তু তা সময় সাপেক্ষ। তাই আপাতত দত্তক নেওয়াই সেরা বিকল্প।

শ্রীলেখা মিত্রের কড়া সমালোচনা:

স্বস্তিকার পাশাপাশি শ্রীলেখা মিত্রও তার ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে কড়া ভাষায় আদালতের সমালোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, “সুপ্রিম কোর্ট ধর্ষক ও খুনিদের খোলা ছেড়ে দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আর এই নির্বাকদের বিরুদ্ধে এই ধরনের আইন প্রয়োগ করেছে? এই ধরনের আইন প্রণেতাদের লজ্জা হওয়া উচিত।” এরই সঙ্গে তিনি একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করার জন্য তার অনুসারীদের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্য একটি পোস্টে শ্রীলেখা আরও ক্ষোভের সঙ্গে লেখেন, “ধর্ষক-খুনিরা ঘুরে বেড়াক আর ওদের জেলে ভরুক। ঢপের আইন মানছি না।”

শ্রীলেখা ও স্বস্তিকা দুজনেই মনে করেন, এই ধরনের আইন বাস্তবসম্মত নয় এবং এটি কুকুর ও মানুষের মধ্যে সংঘাতের মূল কারণ নয়। তাদের মতে, পথকুকুরদের এই ভয়ানক পরিণতি থেকে বাঁচাতে আরও মানবিক এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। টলিউডের এই দুই তারকার প্রতিবাদে দিল্লির পথকুকুরদের নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।