‘বাইকে চেপে ফিরছিলেন, তারপরেই হলো সর্বনাশ!’ তৃণমূল কর্মীর বুকে ও মাথায় গুলি, শোকে পরিবার

গত ৩৭ দিনে রাজ্যে ১০ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী খুন হয়েছেন, যা রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এবার বাঁকুড়ার সোনামুখী ব্লকের চকাই গ্রামে তৃণমূলের বুথ আহ্বায়ক সিকন্দর খানকে গুলি করে খুন করল দুষ্কৃতীরা। গতকাল রাত ৯টা নাগাদ বড়জোড়ার পখন্না বাজার থেকে বাইকে করে বাড়ি ফেরার পথে সিকন্দর খানের ওপর এই হামলা চালানো হয়।
খুনের নেপথ্যে কী?
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ডিভিসি ক্যানালের পাড়ে সিকন্দর খানকে পিছন থেকে গুলি করা হয়। মাথায় ও পিঠে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নিহত নেতার স্ত্রী তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি নাসিম শেখের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছেন। ঘটনার পর থেকেই নাসিম শেখ পলাতক। পুলিশ রাজনৈতিক শত্রুতা নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশ, তা খতিয়ে দেখছে।
রাজনৈতিক চাপানউতোর
তৃণমূলের দাবি, ২০২৬ সালের নির্বাচনে লড়াইয়ে জিততে পারবে না বুঝে বিজেপি সিপিএমের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এই খুন করিয়েছে। অন্যদিকে, বিজেপির পাল্টা অভিযোগ, এটি তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং ভাগ-বাঁটোয়ারার লড়াইয়ের ফল।
উল্লেখ্য, ৫ মাস আগে এই চকাই গ্রামেই নর্দমা তৈরি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল, যেখানে তৎকালীন বুথ সভাপতি নাসিম শেখ গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। ৫ মাসের মাথায় এবার বুথ আহ্বায়কের ওপর হামলা হওয়ায় এর পিছনে কোনো প্রতিশোধের কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বসিরহাটে পাল্টা গুলি: খুনের চেষ্টার অভিযোগ
এদিকে, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে এক তৃণমূল কর্মীর খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনা ছড়িয়েছে। নিহত তৃণমূল কর্মীর ভাই জাকির গাজির বিরুদ্ধে এলাকার মহিদুল শেখকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও জাকিরের পরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এই ঘটনা কি পুরোনো খুনের বদলা? পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে।