রাহুল গান্ধীর ‘ভোট চুরি’ মন্তব্যে কটাক্ষ, মন্ত্রিত্ব হারালেন কর্নাটকের মন্ত্রী কে.এন. রাজন্য

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর একটি মন্তব্য নিয়ে সমালোচনা করে কর্নাটকের সমবায় মন্ত্রী কে.এন. রাজন্যকে মন্ত্রিত্ব হারাতে হয়েছে। দলের অভ্যন্তরীণ অস্বস্তি বাড়ানোর অভিযোগে কংগ্রেস হাইকমান্ড কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াকে রাজন্যকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয়। এরপর সোমবার মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার চাপে পদত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এই কংগ্রেস নেতা। এই ঘটনায় কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
ঘটনার সূত্রপাত হয় চার দিন আগে, যখন রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেন যে, ভোট চুরি হয়েছে, যার মধ্যে কর্নাটকের ভোটও রয়েছে। রাহুলের এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মন্ত্রী রাজন্য বলেন, “ভোটার তালিকা কখন তৈরি হয়েছিল? যখন কর্নাটকে আমাদের সরকার ছিল। তখন কি সবাই চোখ বন্ধ করে বসেছিল?” যদিও তিনি নিজেও ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ স্বীকার করেন। তবে তিনি যোগ করেন, “এই কারচুপি আমাদের চোখের সামনে হয়েছে। এর জন্য আমাদের লজ্জা পাওয়া উচিত।” তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, তখন চুপ থেকে এখন কেন এই বিষয়ে কথা বলা হচ্ছে।
রাজন্যর এই মন্তব্য দলের মধ্যে ব্যাপক অস্বস্তি তৈরি করে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তাকে পদত্যাগের জন্য চাপ দিতে থাকেন। অবশেষে, সোমবার তিনি মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দেন।
মন্ত্রীর পদত্যাগ নিয়ে বিজেপি কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করেছে। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা সিটি রবি বলেন, “কংগ্রেসের মধ্যে কোনো গণতন্ত্র নেই। যদি আপনি সত্যি কথা বলেন, তবে আপনাকে পদত্যাগ করতে বলা হবে।” কর্নাটক বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আর. অশোক বলেন, “সত্যি কথা বলার জন্য রাজন্যকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানো হল।”