‘দিদি নম্বর ১ বন্ধ হলে আন্দোলনও শুরু হয়ে যাবে’, লোকসভায় কম হাজিরা নিয়ে যা বললেন রচনা!

লোকসভা নির্বাচনে হুগলি কেন্দ্র থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে লোকসভায় বাদল অধিবেশন চলছে। সাংসদ হিসেবে তাঁরও এই অধিবেশনে উপস্থিত থাকার কথা। তবে অভিনেত্রী এবং নতুন সাংসদ রচনা জানিয়েছেন যে তাঁর পক্ষে প্রতিদিন অধিবেশনে উপস্থিত থাকা সম্ভব হচ্ছে না। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এর কারণ ব্যাখ্যা করেছেন।

TV9 বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রচনা বলেন, “লোকসভায় যাওয়াটা নির্ভর করে কে কখন কী পরিস্থিতিতে রয়েছেন তার উপর। যাঁরা পুরোপুরিভাবে রাজনীতিবিদ বা রাজনীতিই যাঁদের একমাত্র পেশা, আমার মনে হয় তাঁদের অবশ্যই যতদিন এই অধিবেশন চলবে, ততদিন পার্লামেন্টে যাওয়া উচিত। যদি না তাঁর কোনো শারীরিক সমস্যা বা পারিবারিক কোনো অসুবিধা থাকে। সব ঠিক থাকলে রোজ যাওয়া উচিত।”

তবে যাঁরা শুধুমাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁদের বিষয়টা আলাদা বলে তিনি মনে করেন। নিজের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “যাঁরা রাজনীতির পাশাপাশি অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্ত আছেন, যেমন আমি। আমাকে ‘দিদি নম্বর ১’-এর মতো ৩৬৫ দিন সম্প্রচারিত হয় এমন একটি শো করতে হয়, পাশাপাশি আমার নিজের ব্যবসা রয়েছে, তার সঙ্গে রাজনীতিটাও করি। তাই আমাকে সবটা ম্যানেজ করতে হয়।”

শো’টির গুরুত্ব ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমাকে শো-টাও তো চালাতে হবে। কারণ এটা এমন একটা শো যেটা বন্ধ হয়ে গেলে হয়তো আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। আমি তো সেটা হতে দিতে পারব না।” তিনি আরও জানান যে, এই শো এবং নিজের ব্যবসা সামলানোর পাশাপাশি তাঁকে সংসার এবং রাজনৈতিক দায়িত্বও পালন করতে হয়।

এই কারণে তাঁর পক্ষে সংসদে ১০০ ভাগ হাজিরা দেওয়া সম্ভব হয় না। তবে তিনি চেষ্টা করেন যতটা সম্ভব সময় বের করে পার্লামেন্টের জন্য বরাদ্দ করতে। তাঁর এই মন্তব্যের পর রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসেবে তাঁর সংসদে উপস্থিত থাকা বেশি জরুরি। তবে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অকপট মন্তব্য তাঁর কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা এবং সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরেছে।