“ট্রাম্পের সঙ্গে বিশেষ বন্ধুত্ব কোথায় গেল?”- পাক সেনাপ্রধানের আমেরিকা সফর নিয়ে কংগ্রেসের খোঁচা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘বিশেষ বন্ধুত্ব’ নিয়ে প্রশ্ন তুলল কংগ্রেস। দলের অভিযোগ, মোদী যখন ট্রাম্পের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা বলেন, তখন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনির দু’মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বারের জন্য আমেরিকা সফর করছেন।

পাকিস্তান ও আমেরিকার ঘনিষ্ঠতা
কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এক্স-বার্তায় বলেছেন, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের উসকানিমূলক মন্তব্যের পর পহলগামে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। সেই আসিম মুনিরই বর্তমানে আমেরিকার কাছের মানুষ হয়ে উঠেছেন। গত ১৮ই জুন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মুনিরের মধ্যাহ্নভোজের বৈঠক হয়েছিল। এবার তিনি মার্কিন সেন্ট্রাল কমান্ডের (CENTCOM) প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিল্লার বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিতে টাম্পা যাচ্ছেন। উল্লেখ্য, জেনারেল কুরিল্লা সম্প্রতি পাকিস্তানকে সন্ত্রাস দমনে ‘অসাধারণ বন্ধু’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন।

জয়রাম রমেশ দাবি করেছেন যে, এসব ঘটনা প্রমাণ করে ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের দাবি এখন আর ধোপে টিকছে না। তিনি আরও বলেন, জানুয়ারি মাস থেকে নয়াদিল্লিতে আমেরিকার কোনো স্থায়ী রাষ্ট্রদূত নেই, যা ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্কের গুরুত্ব কমে যাওয়াকেই ইঙ্গিত করছে।

ভারত-মার্কিন সম্পর্কে টানাপোড়েন
ভারত ও আমেরিকার মধ্যে শুল্কযুদ্ধ চলছে। রাশিয়া থেকে তেল কেনার অভিযোগে ভারত সরকারের ওপর ট্রাম্প প্রশাসন ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে এবং আলোচনার রাস্তাও বন্ধ করে দিয়েছে। অথচ একই সময়ে ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতিতে পাকিস্তান আপসরফার মাধ্যমে প্রচুর মাশুল কমাতে সক্ষম হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কূটনৈতিক লড়াইয়ে পাকিস্তান কিছুটা এগিয়ে আছে।

ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতি ভারতের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে কাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে আসিম মুনিরের দ্বিতীয় আমেরিকা সফর ভারতের জন্য এক বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।