উত্তরাখণ্ডের বন্যায় এখনও নিখোঁজ ৫০, ISRO-র স্যাটেলাইট ছবিতে ধ্বংসের ভয়াবহ চিত্র!

উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টি ও হড়পা বানের ফলে বিপর্যয় নেমে এসেছে। এই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও উদ্ধারকাজ চলছে। এই কাজে সহায়তা করতে এবার ইসরো (ISRO) মাঠে নেমেছে। ইসরোর স্যাটেলাইট ছবি থেকে বিপর্যয়ের ভয়াবহতা স্পষ্ট হয়েছে।

স্যাটেলাইটে ধরা পড়ল ধ্বংসলীলা
কৃত্রিম উপগ্রহ থেকে পাওয়া তথ্য এবং ছবি বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মেঘভাঙা বৃষ্টির পর ক্ষীরগঙ্গা নদী বেয়ে প্রায় ৩৬০ মিলিয়ন ঘনমিটার কাদামাটি ও পাথরের স্তূপ নেমে এসেছিল ধরালী গ্রামে।

ইসরোর কার্টোস্যাট স্যাটেলাইট ৭ই আগস্ট হাই-রেজোলিউশনের ছবি তুলেছে। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে ক্ষীরগড় নদী ভাগীরথী নদীর সঙ্গে মিশেছে, সেখানে প্রায় ২০ হেক্টর (প্রায় ৭৫০ মিটার বাই ৪৫০ মিটার) এলাকা জুড়ে কাদা এবং ধ্বংসাবশেষের বিশাল জমাট দেখা যাচ্ছে।

ইসরোর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই ম্যাপিং উদ্ধারকারী দলকে আটকে পড়া স্থানগুলো সহজে খুঁজে বের করতে, জলমগ্ন এলাকা চিহ্নিত করতে এবং বিচ্ছিন্ন গ্রামগুলোতে যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিকাঠামো
হায়দরাবাদের দ্য ন্যাশনাল রিমোট সেন্সিং সেন্টার (NRSC) দুর্যোগ-পরবর্তী চিত্র বিশ্লেষণ করে দেখেছে যে, নদীর গতিপথ বদলে গেছে এবং বহু বাড়িঘর ভেসে গেছে বা কাদা ও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে। রাস্তা, সেতু, বাগান এবং বাড়িঘর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

দুর্যোগের আগের ও পরের ছবিতে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, জুন মাসে অক্ষত থাকা ধরালী এবং ভাগীরথী নদী এখন ঘন কাদা ও পলিতে ভরে গেছে এবং অনেক কাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরো এক বিবৃতিতে বলেছে, “উপগ্রহ চিত্রগুলি আটকে পড়া ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছাতে এবং বিচ্ছিন্ন অঞ্চলে যোগাযোগ পুনরুদ্ধার করতে চলমান অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করবে।”

বর্তমানে, ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলোতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে এখনও ৫০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।