মুম্বাই নয়, পরকীয়ায় সবথেকে এগিয়ে এই ছোট্ট শহর! নাম জানলে চমকে যাবেন

সম্পর্ক নিয়ে মানুষের বিশ্বাস কি তবে দিন দিন কমছে? সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষার রিপোর্ট অন্তত সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে। একটি গ্লোবাল ডেটিং প্ল্যাটফর্ম, অ্যাসলি ম্যাডিসন, তাদের জুন মাসের রিপোর্টে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে। এই সমীক্ষা অনুযায়ী, ভারতের বড় মেট্রো শহরগুলো নয়, বরং ছোট এবং মধ্যবিত্ত অধ্যুষিত শহরগুলোতে পরকীয়ার হার দ্রুত বাড়ছে।

সমীক্ষার সবচেয়ে বড় চমক হলো বাণিজ্যনগরী মুম্বইয়ের পরকীয়ার হার হঠাৎ করে অনেকটা কমে যাওয়া। গত বছর যেখানে মুম্বই এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল, এ বছর তা প্রথম ২০টি শহরের মধ্যেও নেই। তবে একই সময়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে অন্য কিছু শহরের পরকীয়া। এর মধ্যে রয়েছে জয়পুর, রায়গড়, কামরূপ এবং চণ্ডীগঢ়-এর মতো শহর।

রিপোর্টে সবচেয়ে চমকপ্রদ তথ্যটি এসেছে দক্ষিণের একটি ছোট শহর থেকে। তামিলনাড়ুর কাঞ্চিপুরম পরকীয়ার ক্ষেত্রে এক বিশাল লাফ দিয়ে দেশের মধ্যে প্রথম স্থানে উঠে এসেছে। গত বছর এই শহরটি ছিল ১৭তম স্থানে, কিন্তু এ বছর সব রেকর্ড ভেঙে শীর্ষস্থান দখল করেছে। এই উত্থান প্রমাণ করে যে পরকীয়ার প্রবণতা এখন আর শুধু বড় শহরগুলোর মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই।

সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ৫৩ শতাংশ ভারতীয়ই স্বীকার করেছেন যে তারা বিবাহ বহির্র্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত। এই প্রবণতা মধ্যবিত্ত শ্রেণির মধ্যে বিশেষভাবে বেশি লক্ষ্য করা গেছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, সামাজিক চাপ এবং ব্যক্তিগত চাহিদার মাঝে চাপা পড়ে থাকা এই মানুষগুলো খোলা হাওয়ার খোঁজে পরকীয়ার আশ্রয় নিচ্ছেন। অন্যদিকে, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরগুলোতে সম্পর্ক এখন আরও খোলামেলা, যা হয়তো ডেটিং অ্যাপের উপর তাদের নির্ভরশীলতা কমিয়ে দিয়েছে। সেখানকার মানুষেরা এখন অ্যাপের বাইরেও নতুন নতুন উপায়ে সম্পর্ক তৈরি করার সুযোগ পাচ্ছেন।

সমীক্ষায় শুধুমাত্র অ্যাপে সাইন-আপ করা নয়, বরং ব্যবহারকারীদের সক্রিয়তাকেও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। দেখা গেছে, দিল্লি বা মুম্বইয়ের মতো বড় শহরে ইউজার সংখ্যা বেশি হলেও তাদের মধ্যে কথাবার্তা বা আলাপচারিতা কম। এই কারণেই পরকীয়ার তালিকাতে তাদের স্থান নিচে নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, এই তালিকায় কলকাতার নাম কোথাও উল্লেখ করা হয়নি।

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের প্রতি সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিও এখন বদলাচ্ছে। ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা বাতিল করে দেয়, যেখানে পরকীয়াকে এক সময় অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতো। এই আইনি পরিবর্তনও হয়তো মানুষের সম্পর্কের ধারণায় প্রভাব ফেলছে।