চুলে কালার করতে চান? চুলের স্বাভাবিক রং বদলে ফেলার প্রবণতা অনেকেরই রয়েছে। স্টাইলের জন্য অধিকাংশ মানুষই চুলে কালার করেন। কিন্তু কালার করার পর চুলের স্বাস্থ্য বজায় রাখা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। তাই যারা এখনও চুলে কালার করেননি কিন্তু করতে চাইছেন, তাদের জন্য এই লেখাটি। চলুন তাহলে দেখে নিই, যে পরামর্শ আপনার জানা প্রয়োজন-
যে কাজগুলো করবেন
১। চুলের জন্য কোন রং পছন্দ করছেন, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ। যে কালারই পছন্দ করুন, তাতে প্রাকৃতিক অ্যামোনিয়া মুক্ত থাকতে হবে। এতে চুলের ক্ষতি অনেকটাই কম হয়। শ্যাম্পু করার পর তা বিবর্ণ হয় না।
২। কালার করার পর প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। কন্ডিশনারগুলো কিউটিকল সিল করতে সাহায্য করে। রংয়ের স্থায়িত্ব ও তীব্রতা আরও বাড়ায়।
৩। সবসময় আপনার চুলকে ময়েশ্চারাইজ করার চেষ্টা করবেন। স্ট্যান্ড ও স্কাল্পে আর্দ্রতা বজায় রাখা চুলের পুষ্টি বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাতে কালারবেশ উজ্জ্বল ও চকচকে দেখায়। এছাড়া চুলের কোমলতাও বজায় থাকে।
৪। ক্লোরিন থেকে চুলকে রক্ষা করতে পুলে যাওয়ার আগে চুলে শাওয়ার নিতে পারেন। এছাড়া পুল থেকে ওঠার পর ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি হাইড্রেটিং মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন।
যা করবেন না
১। স্টাইলিশ ব্রাশ, বৈদ্যুতিক ব্রাশ, প্লেট বা ড্রয়ারের মতো তাপ উত্পাদনকারী মেশিন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এগুলো দিয়ে আপনার চুলকে পরিপাটি দেখাতে পারে, কিন্তু চুল শুষ্ক এবং রং নষ্ট করবে।
২। গোসলের সময় আপনাকে গরম জল এড়াতে হবে। কারণ এটি চুলের কিউটিকল খুলে দেয়। তাতে রঙ এবং হাইড্রেশনের জন্য সংবেদনশীল করে তোলে।
৩। কঠোর রাসায়নিক এবং বিষাক্ত পদার্থ এড়িয়ে চলুন। পরিবর্তে ভেষজ চুলের রং নির্বাচন করুন। চুলের যত্নের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র গুণমানে বিনিয়োগ করুন।
৪। সূর্যের সরাসরি তাপ থেকে এড়িয়ে চলুন। বাইরে বের হওয়ার সময় টুপি এবং ক্যাপ ব্যবহার করতে ভুলবেন না। অত্যধিক তাপ এড়িয়ে চলুন তাতে চুলের ক্ষতি দ্বিগুণ হয়ে যায়।