উপরাষ্ট্রপতি ধনখড়ের ইস্তফা ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বার্তা ও বিরোধীদের প্রশ্ন

উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের আকস্মিক ইস্তফা নিয়ে ভারতীয় রাজনীতিতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এক্স (আগের টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে ধনখড়ের সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন, যা রাজনৈতিক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর পোস্টে লিখেছেন, “জগদীপ ধনখড় দেশকে বিভিন্ন ভূমিকায় সেবা করার সুযোগ পেয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে উপরাষ্ট্রপতির পদও। তাঁর উন্নত স্বাস্থ্যের কামনা করছি।” এই বার্তাটি ধনখড়ের পদত্যাগের পর তাঁর শারীরিক অসুস্থতার কারণকেই সমর্থন করে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা সত্ত্বেও বিরোধীরা ধনখড়ের হঠাৎ পদত্যাগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলগুলি দাবি করেছে যে, জগদীপ ধনখড় শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ ছিলেন এবং তাঁর ইস্তফা সম্ভবত কোনো চাপ বা রাজনৈতিক পরিস্থিতির ফল। তাদের মতে, হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত নেওয়াটা অস্বাভাবিক এবং এর পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে।
এই প্রসঙ্গে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সম্প্রতি জগদীপ ধনখড়ের একটি বৈঠকে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে.পি. নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজুজুর অনুপস্থিতি। কংগ্রেস এই অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল, যা ধনখড়ের ইস্তফার সঙ্গে সম্পর্কিত হতে পারে বলে জল্পনা সৃষ্টি হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় জে.পি. নাড্ডা নিউজ১৮ ইন্ডিয়াকে জানিয়েছেন যে, তাঁরা উপরাষ্ট্রপতির ডাকা বিকেল সাড়ে ৪টের বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পারেননি কারণ তাঁরা অন্যান্য সংসদীয় কাজে ব্যস্ত ছিলেন। নাড্ডা আরও নিশ্চিত করেছেন যে, এই বিষয়ে উপরাষ্ট্রপতির দফতরকে আগেই অবহিত করা হয়েছিল।
এর আগে ধনখড় নিজেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে তিনি ২০২৭ সাল পর্যন্ত উপরাষ্ট্রপতি পদে থাকবেন, কিন্তু হঠাৎ করেই তাঁর পদত্যাগ এই জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে। উপরাষ্ট্রপতির পদত্যাগের পর সংবিধান অনুযায়ী ছয় মাসের মধ্যে নতুন উপরাষ্ট্রপতির নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হবে। এখন দেখার বিষয়, এই আকস্মিক পদত্যাগের পেছনের প্রকৃত কারণ কী, এবং বিরোধীদের তোলা প্রশ্নগুলো আগামী দিনে কী মোড় নেয়।