আবারও ভাসতে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ! বুধবার থেকে শুরু প্রবল বর্ষণ, জারি কমলা সতর্কতা

টানা দশ দিনের বর্ষণের পর দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে গত দু’দিন ধরে সূর্যোদয় দেখা গেলেও, আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এই স্বস্তি ক্ষণস্থায়ী। তীব্র আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি কাটতে না কাটতেই বুধবার থেকে রাজ্যজুড়ে ফের ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণ মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হওয়ায় বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প রাজ্যে প্রবেশ করছে, যা এই প্রবল বর্ষণের কারণ।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে, যার ফলে এই জেলাগুলিতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
তবে, মূল দুর্যোগ শুরু হবে বুধবার থেকে। ওই দিন দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং পূর্ব মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বৃহস্পতিবারের মধ্যে উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নতুন নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার কলকাতা সহ দক্ষিণের প্রায় সব জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ার জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যেখানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে। এরপর শনিবারও হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি চলবে। রবিবার ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ায় ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও অন্যান্য জেলাগুলির জন্য আলাদা করে সতর্কতা জারি করা হয়নি, সেখানেও বিক্ষিপ্ত ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে বলে আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে, শুক্রবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টি শুরু হতে পারে। রবি ও সোমবার দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে, রাজ্যবাসীকে আগামী কয়েক দিন চরম ভোগান্তির জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।