বিশেষ: অল্প জায়গায়-অল্প পুঁজিতে শুরু করুন লাভজনক ব্যবসা, প্রতিমাসে উপার্জন ৫৫,০০০ টাকা

অনেক তরুণ-তরুণী আজকাল চাকরির চেয়ে ব্যবসা করতে বেশি আগ্রহী। কিন্তু পুঁজির অভাবে অনেকেই পিছিয়ে পড়েন। তবে মনে রাখবেন, সব ব্যবসায়ই বিপুল টাকা লাগে না। অল্প জায়গা ও অল্প পুঁজিতে শুরু করা যায় গবাদি পশু, হাঁস-মুরগি ও মাছের খাবার তৈরির ব্যবসা। আর এই ব্যবসা থেকে লাখ লাখ টাকা রোজগারেরও সম্ভাবনা রয়েছে।
কেন লাভজনক এই ব্যবসা?
হাঁস-মুরগির খামার ও মাছের ভেড়ির সংখ্যা কম নয়। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পশু ও মাছের খাবারের প্রয়োজন হয়। ফলে সারা বছরই এই খাবারের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। ছাগল পালনের জন্য সরকার ਵੀ ভর্তুকি দিচ্ছে। এই ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি পুঁজির প্রয়োজন হয় না। একই মেশিন ব্যবহার করে আপনি পশু ও মাছের খাবার দুটোই তৈরি করতে পারবেন।
কীভাবে শুরু করবেন?
প্রথমেই রাজ্য সরকারের কাছ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে।মাছের খাবার তৈরির জন্য প্রয়োজন তিনটি মেশিন – গ্রাইন্ডার, মিক্সার ও দানা তৈরির মেশিন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, 2 থেকে 7 হর্স পাওয়ারের মেশিন কিনলেই চলবে। এর খরচ হবে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। মাছের খাবার তৈরির জন্য লাগবে লতাপাতা, খড় ও সবজির খোসা। হাঁস-মুরগির খাবার তৈরির জন্য লাগবে ভুট্টা, জোয়ার, বাজরা ও গমের মতো শস্যদানা।খাবার তৈরির পর সঠিকভাবে বাজারজাত করতে হবে। এলাকার খামার ও ভেড়িগুলোতে খাবার সরবরাহ করতে পারেন।
মনে রাখবেন:
ভালো মানের খাবার তৈরি করলে ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করা যাবে। বাজারে প্রতিযোগিতা থাকবে। তাই দাম, মান ও পরিষেবার দিক থেকে সেরা হওয়ার চেষ্টা করুন।সরকার বিভিন্নভাবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সাহায্য করে থাকে। সেসব সুযোগের খোঁজ নিন।