২১-এর সমাবেশ থেকে মানবিকতার বার্তা, মমতার সুব্যবস্থায় মুগ্ধ বিতানের পরিবার

প্রতি বছর ২১শে জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের শহীদ দিবসের সমাবেশ লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগমে ধর্মতলাকে জনসমুদ্রে পরিণত করে। এই বিশাল জনসমাবেশে আসা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে প্রায়শই নানা সমস্যা দেখা যায়। তবে, এবারের ২১শে জুলাইয়ের সভা কেবল রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চই ছিল না, মানবিকতার এক অনন্য দৃষ্টান্তও স্থাপন করেছে। বিতান নামের এক শিশুর বাবা-মা সভা থেকে ফিরে এসে যা জানালেন, তা শুনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

বিতানের বাবা-মা, যারা দূর থেকে ২১শে জুলাইয়ের জনসভায় যোগ দিতে এসেছিলেন, জানান যে ভিড়ের মধ্যে তাঁদের শিশুটির যত্ন নেওয়া নিয়ে কিছুটা চিন্তা ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত নির্দেশে সভাস্থলে যে সুব্যবস্থা করা হয়েছিল, তা তাঁদের সমস্ত চিন্তা দূর করে দেয়। তাঁরা আপ্লুত হয়ে বলেছেন, “ওষুধ-খাবারের ব্যবস্থা করেছেন মমতাই, ২১-এর মঞ্চ থেকে ফিরে যা জানালেন বিতানের বাবা-মা।”

তাঁরা জানান, জনসভার ভিড়ে কোনো রকম অসুস্থতা বা জরুরি প্রয়োজন দেখা দিলে, তৃণমূলের স্বেচ্ছাসেবক এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে দ্রুত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্কদের জন্য আলাদাভাবে যত্ন নেওয়া হয়েছে। বিতানের বাবা বলেন, “আমরা কখনও ভাবিনি যে এত বড় একটি রাজনৈতিক সমাবেশেও এমন মানবিক ব্যবস্থা থাকতে পারে। দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) নিজে সবকিছু দেখভাল করেছেন বলে মনে হয়েছে। পানীয় জল, খাবার, এমনকি প্রয়োজনে প্রাথমিক চিকিৎসারও সুব্যবস্থা ছিল।”

বিতানের মা আরও বলেন, “এত ভিড়ের মধ্যেও আমাদের সন্তানের জন্য কোনো অসুবিধা হয়নি। খাবার, জল সবই হাতের কাছে পেয়েছি। অসুস্থ বোধ করলেও চিকিৎসকের সাহায্য পাওয়া গেছে। দিদি শুধু রাজনৈতিক নেত্রী নন, উনি একজন মা-ও বটে। ওঁর এই মানবিক উদ্যোগ আমাদের মন ছুঁয়ে গেছে।”

এই ঘটনা আবারও প্রমাণ করে যে, বৃহৎ রাজনৈতিক কর্মসূচির পাশাপাশি, তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিশেষ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের সুবিধা এবং সুস্থতার বিষয়টিকে কতটা গুরুত্ব দেন। ২১শে জুলাইয়ের এই সমাবেশ একদিকে যেমন তৃণমূলের রাজনৈতিক শক্তি এবং জনভিত্তি প্রদর্শন করেছে, তেমনই অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানবিক ও সংবেদনশীল ভাবমূর্তিকেও উজ্জ্বল করেছে। বিতানের বাবা-মার মতো সাধারণ মানুষের এই স্বতঃস্ফূর্ত প্রশংসা নিঃসন্দেহে তৃণমূলের প্রতি জনসমর্থন আরও বাড়িয়ে তুলবে।