ঘি নাকি রিফাইন্ড তেল? সকলের জন্য রামদেবের নতুন বার্তা, খেলে মস্তিষ্কও হবে তীক্ষ্ণ!

অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতার নামে ঘি’কে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দেন, এই ধারণায় যে ঘি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। কিন্তু এই প্রচলিত ধারণাকে সম্পূর্ণ ভুল প্রমাণ করে দিলেন যোগগুরু স্বামী রামদেব। তাঁর সাম্প্রতিক বক্তব্যে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে, ঘি শুধুমাত্র শরীরের উপকারই করে না, বরং মস্তিষ্ককেও তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে। উল্টোদিকে, ভুল তেল, বিশেষ করে রিফাইন্ড তেলের ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।

রিফাইন্ড তেলের ক্ষতিকারক দিক:
স্বামী রামদেবের মতে, “রিফাইন্ড তেল শরীরের জন্য মোটেই ভালো নয়।” তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, এই তেল প্রক্রিয়াকরণের সময় এর সমস্ত পুষ্টিগুণ হারিয়ে ফেলে এবং মূলত কেবল ভাজার কাজে ব্যবহৃত হয়। তাঁর মতে, অত্যাধিক রিফাইন্ড তেল খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে, যা দীর্ঘমেয়াদী অসুস্থতার কারণ হতে পারে।

ঘি’র অসংখ্য উপকারিতা:
রামদেব জোর দিয়ে বলেন যে, ঘি শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। তাঁর মতে, ঘি শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে। এছাড়াও, ঘি মস্তিষ্ককে সক্রিয় ও তীক্ষ্ণ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, নিয়মিত ঘি সেবন আয়ু বাড়াতেও সহায়ক।

কীভাবে খাবেন ঘি? রামদেবের পরামর্শ:
ঘি খাওয়ার সঠিক পদ্ধতি নিয়েও রামদেব কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন:

সকালে খালি পেটে: প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক চা চামচ ঘি খাওয়ার অভ্যাস করতে তিনি বলেছেন।

লবণ সহকারে: ঘিয়ের সঙ্গে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেলে তার উপকারিতা আরও বাড়তে পারে।

তেলের মিশ্রণ: যারা অতিরিক্ত উপকারিতা চান, তারা ঘিয়ের সঙ্গে নারকেল তেল বা তিলের তেল মিশিয়েও খেতে পারেন বলে তিনি জানান।

যোগগুরুর এই বার্তা এটাই স্পষ্ট করে যে, রিফাইন্ড তেলের পরিবর্তে ঘি’কে খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এর ফলে শরীর এবং মস্তিষ্ক উভয়ই সুস্থ ও সক্রিয় থাকবে বলে রামদেব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন। তাঁর এই মন্তব্য খাদ্য ও স্বাস্থ্য সচেতন মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।