একুশের মঞ্চ থেকে অভিষেকের হুঙ্কার ‘২৬-এ পদ্মফুল উপড়ে ফেলব, সংসদে ৫০০ বার বাংলায় কথা বলব!’

তৃণমূল কংগ্রেসের একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন দলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রতিটি বাক্যেই ছিল বিজেপি-বিরোধী বার্তার ধারালো প্রতিফলন। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সমাবেশ থেকে অভিষেক যে সুর বেঁধে দিলেন, তা নিঃসন্দেহে আগামী দিনের রাজনৈতিক তরজাকে আরও উসকে দেবে।

এদিন অভিষেকের ভাষণে স্পষ্ট ছিল আত্মবিশ্বাসের ছাপ। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করেন, “২০২৬ সালে পদ্মফুল উপড়ে ফেলা হবে।” এই মন্তব্য সরাসরি বিজেপির প্রতি তাঁর চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দেয়। শুধু রাজ্য রাজনীতিতেই নয়, জাতীয় স্তরেও বাংলার গুরুত্ব তুলে ধরতে অভিষেক বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, “সংসদে প্রয়োজনে বাংলায় কথা বলব। দেখব কার গায়ে জ্বালা লাগে! সংসদে ৫০০ বার বাংলায় কথা বলব।” এই মন্তব্যের মাধ্যমে অভিষেক বুঝিয়ে দিলেন, বাংলাকে অবজ্ঞা করার কোনো চেষ্টা তিনি বরদাস্ত করবেন না।

বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’ ইস্যুতেও সরব হন অভিষেক। তিনি বলেন, “বাংলার মানুষকে ডিটেনশন ক্যাম্পে নিয়ে যেতে চায়।” এরপরই পাল্টা হুঙ্কার দিয়ে তিনি বলেন, “২০২৬-এর পর এদেরকে ডিটেনশন ক্যাম্পে আমরা নিয়ে যাব।” এই বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপির প্রতি তৃণমূলের কড়া মনোভাবের ইঙ্গিত দেয়।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতার শেষ অংশে ছিল সময়সীমা বেঁধে দেওয়া এক হুঙ্কার। তিনি বলেন, “আর দশ মাস, তারপর জয় বাংলা বলাবো।” তাঁর এই মন্তব্য ২০২৬ সালের নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তৃণমূলের প্রস্তুতি এবং আত্মবিশ্বাসের কথাই তুলে ধরেছে। সামগ্রিকভাবে অভিষেকের আজকের ভাষণ ছিল একদিকে যেমন বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ, তেমনই অন্যদিকে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনা সঞ্চারের এক প্রচেষ্টা।